নতুন করে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় যাচাই বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। ভিসা ও কাজের ধরন, বেতন ও থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধা এবং নিয়োগকর্তার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করতে বলা হয়েছে। নাহলে মালদ্বীপে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও এক নির্দেশনায় জানায় হাইকমিশন।
মালদ্বীপে লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। শ্রমে ঘামে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে ভালো আয়ের আশায় বছরের পর বছর দেশটিতে পাড়ি জমাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু বর্তমানে ভালো নেই দেশটিতে যাওয়া নতুন প্রবাসীরা।
বিশেষ করে উন্মুক্ত ভিসায় যারা যান তারাই নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কাজ পেলেও অনেকে আবার কাজ ও বৈধ মালিকানা পাচ্ছেন না। তাছাড়া নির্ধারিত সময়েও কাঙ্ক্ষিত কাজ না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন অসংখ্য প্রবাসী। এ কারণেই বাংলাদেশ থেকে নতুন করে মালদ্বীপে যাওয়ার আগে সবকিছু যাচাই বাছাই করেই দেশটিতে ঢোকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
নির্দেশনায় হাইকমিশন আরও জানায়, নতুন চাকরি প্রত্যাশীদের মালদ্বীপ প্রবেশের আগে অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত যে প্রতিষ্ঠানে যাবেন সেখানে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান আছে কিনা। বেতন, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন হবে এবং নিয়োগকর্তার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র সঠিক কিনা। এসব বিষয় না জানলে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন বলে নির্দেশনায় সতর্ক করা হয়।
অনেক দিন ধরে কাজ পাচ্ছেন না এমন বহু প্রবাসী কাজের সন্ধানে ফোন করেন, নতুন করে যারাই যেতে চান তারা দেখে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে মত বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের। তারা বলেন, অনেক এজেন্সির মাধ্যমে এসে কাজ পাচ্ছেন না। বিভ্রান্ত করছেন পুরোনোদের। খোঁজ-খবর না নিয়ে নতুনদের আসা উচিত নয়।
বাংলাদেশ থেকে সবকিছু নিশ্চিত করেই মালদ্বীপে প্রবেশের পরামর্শ বাংলাদেশ হাইকমিশনের। মালদ্বীপের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ বলেন, কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করে মালদ্বীপে আসা যাবে না। যে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে, সেখানে যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া থাকবে; সেটিই পাবেন।
নতুন কর্মসংস্থান নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কর্মীদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে মালদ্বীপে বিভিন্ন ভিসায় নিয়ে প্রতারিত করছেন অনেকে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মালদ্বীপ-বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।