News update
  • WHO Releases Bibliography on Antimicrobial Resistance     |     
  • TI: Can a country buy its way to net zero?     |     
  • CPJ, global media leaders for unrestricted access to Gaza     |     
  • Eid trip turns into ordeal on crater-ridden Faridpur Highway     |     
  • Pilgrims stone devil as Hajj ends under heat, tight watch     |     

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়, ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2025-04-02, 7:00am

img_20250402_065714-5811792d37e26017e469a9437b1e86e51743555643.jpg




কোপা দেল রের সেমিফাইনালে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে অ্যান্টনিও রুডিগারের ঝলকে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নিল কার্লো আনচেলত্তির দল। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগ ৪-৪ গোলে ড্র হয়ে একপ্রকার কূল রক্ষা হলো স্পেনের সবচেয়ে সফল দলটির। প্রথম লেগের ১-০ গোলে জয়ের কারণেই শেষ হাসি হাসল এমবাপ্পে-রদ্রিগোরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। 

ম্যাচের ৭১ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইনের সমতায় লক্ষ্যে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পরক্ষণে ডাভিড আলাবা আত্মঘাতী হলে শুরু হলো গোলের উৎসব। সময়ের সাথে ম্যাচের গতিপথ বদলায়। কখনও রিয়াল সোসিয়েদাদ ফাইনালের পথে এগিয়ে যায় তো কখনও রিয়াল মাদ্রিদ। রোমাঞ্চে ঠাসা লড়াইয়ের ১১৫ মিনিটে আরেকবার সফরকারীদের জালে বল জড়ালে সেটাই গড়ে দেয় ব্যবধান।

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চার গোলদাতা হলেন- এন্দ্রিক, জুড বেলিংহ্যাম, অঁহেলিয়া চুয়ামেনি ও আন্টোনিও রুডিগার। আর সোসিয়েদাদের হয়ে জোড়া গোল করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল, একবার জালে বল পাঠান আন্দের বারেনেচিয়া।

জয়ের সঙ্গে পুরো মাচে বল দখলে এগিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণেও আধিপত্য বিস্তার করে। গোলের জন্য ২৬টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখতে পারে দলটি। অন্যদিকে, গোলের জন্য শট নেওয়ার হিসেবে সোসিয়েদাদ অনেকটাই পিছিয়ে ছিল, দলটির ১১ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল এবং এর চারটিই জালে জড়ায়। 

শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে দারুণ একটি গোল করার মঞ্চ ম্যাচের শুরুতেই তৈরি করে ফেলেছিলেন এন্দ্রিক। ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে, দুই ডিফেন্ডারের মাঝে প্রথম ছোঁয়ায় বল মাথার ওপর তুলে ওভারহেড কিক নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে পানেননি তিনি। দুই মিনিট পর বাঁ দিক থেকে দূরের পোস্টে জোরাল শট নেন ভিনিসিউস, ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরো। 

এর দুই মিনিট পর প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণে উঠে পাশের জাল কাঁপান সোসিয়েদাদের লুকা সুচিচ। এরপর ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই রিয়াল মাদ্রিদকে স্তব্ধ করে দেয় সফরকারীরা। পাবলো মারিনের হেড পাস ধরে ক্ষিপ্রতায় সবাইকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে আন্দ্রি লুনিনকে পরাস্ত করেন বারেনেচিয়া।

পরে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া বের্নাবেউকে ৩০তম মিনিটে জাগিয়ে তোলেন এন্দ্রিক। ভিনিসিউসের দারুণ থ্রু পাস ধরে সব ডিফেন্ডারকে পেছনে রেখে ডি-বক্সে ঢুকে, দারুণ চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান তরুণ এই ফরোয়ার্ড।

লা লিগায় তেমন একটা খেলার সুযোগ না পেলেও কোপা দেল রেতে নিয়মিতই শুরুর একাদশে থাকেন এবং কোচের আস্থার প্রতিদানও দিয়ে চলেন এন্দ্রিক। এখানে টানা চার ম্যাচে গোলের দেখা পেলেন ১৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। আসরে তার মোট গোল হলো পাঁচটি, হুলিয়ান আলভারেসের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

ম্যাচের বিরতির পরও চাপ ধরে রেখে ৬১তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পায় রিয়াল। জুড বেলিংহ্যামের দূর থেকে নেওয়া সেই প্রচেষ্টা অবশ্য ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর এন্দ্রিককে তুলে কিলিয়ান এমবাপেকে নামান রিয়াল কোচ। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে পেয়ে তাদের আক্রমণ জোরালো হবে কী, উল্টো ছয় মিনিটের মধ্যে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। ডি-বক্সে বল পেয়ে দ্রুত কামাভিঙ্গাকে পাশ কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোলমুখে বল বাড়ানোর চেষ্টা করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মারিন, ঠেকাতে বলের পথে পা দেওয়ার চেষ্টা করেন ডাভিড আলাবা, তাতেই ঘটে যায় অঘটন। তার পায়ে লেগে লুনিনকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে যায় নিজেদের জালে।

আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ৮০তম মিনিটে আবার দুর্ভাগ্য ঘিরে ধরে আলাবাকে। মিকেল ওইয়ারসাবালের শট লক্ষ্যেই ছিল, সামনে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল দূরের পোস্ট ছুঁয়ে জালে জড়ালে ফাইনালের সুবাসও পেতে শুরু করে রিয়াল। কিন্তু আরও একবার শেষ দিকে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ। চার মিনিটের মধ্যে গোল দুটি করেন বেলিংহ্যাম ও চুয়ামেনি।

ম্যাচের ৮২তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ভিনিসিউসের পাস বক্সে পেয়ে নিখুঁত শটে ব্যবধান কমান বেলিংহ্যাম। তবে তিন মিনিট পর সমতাসূচক গোলটি করতে পারতেন ভিনিসিউস। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে গোলরক্ষককে কাটিয়ে তার গায়েই মেরে বসলে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন এক ডিফেন্ডার। রদ্রিগোর ওই কর্নার থেকেই হেডে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।

গোলটি পেয়ে স্বাগতিকরা উল্লাসে ফেটে পড়লেও শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে নাটকীয়তা তখনও শেষ হয়নি। ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাছ থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টেনে নেন ওইয়ারসাবাল। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হলে রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণ এবং ভিনিসিউসের লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। কিছুক্ষণ পর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশায় ডুবেন এমবাপ্পে। তবে ১১৫ মিনিটে গিয়ে দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে ব্যবধান গড়ে দেয় রিয়াল। আর্দা গিলেরের কর্নারে হেডে গোল করেন রুডিগার।

ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ লড়বে বার্সেলোনা অথবা আতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে। এই দুই দলের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছিল, ফিরতি লেগে বুধবার মাঠে নামবে দল দুটি।আরটিভি