Assistant Conservator of Forests visits perched Gangamoti forest area.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন গঙ্গামতির পোড়া বনাঞ্চল পরিদর্শন করলেন পটুয়াখালী সহকারী বন সংরক্ষক মো. তারিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এ বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম সহ বিটের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীসহ স্হানীয় সংবাদ কর্মীরা।
সম্প্রতি কুয়াকাটা সংলগ্ন গঙ্গামতির বনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামকে শোকজ করেন মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সফিকুল ইসলাম। তিনি সহকারী বন সংরক্ষক মো. তারিকুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তার যোগ সাজশে সংরক্ষিত বনের ৮০/৮৫টি তুলাগাছের তুলা বিক্রি করেছেন স্থানীয়দের কাছে। ক্রেতারা গাছ থেকে তুলা সংগ্রহ করার জন্য গাছের নীচে আগুন দেয়। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের রক্ষাকবচ সংরক্ষিত বন ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা মিলে বিভিন্ন সময়ে বনের মাটি, গাছ, ঘাস, ডাব, বিক্রি করছেন।
সরেজমিন তদন্ত শেষে তারিকুল ইসলাম বনে আগুন দেয়ার সত্যতা পেয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কুয়াকাটা বিটের সংরক্ষিত বনের মধ্যে দুইটি স্থানে আগুন দেয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটি জায়গায় গাছের তুলা সংগ্রহ করার জন্য আগুন দেয়া হয়েছে। অন্য জায়গায় তুলা গাছ নেই, ধারণা করা হচ্ছে পথচারী অথবা মাদকসেবীদের সিগারেট থেকে আগুন ধরে প্রায় এক একর বন পুড়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, পরিদর্শনকালে বনের ভিতর থেকে বেশ কিছু গাছ কাটার চিহ্ন পেয়েছি। এ বিষয়টিও আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। - গোফরান পলাশ