News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় ৫ সাইট, ঘরে বসেই আয়ের সেরা প্ল্যাটফর্ম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-06-04, 7:56am

5e9f76431324688c41abbde98da70707e5948cb851f79ab7-c0d3685be68fc2867ab61bbc6e4b95bc1749002165.jpg




ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। এই খাতে প্রচুর কাজ থাকায় দিন দিন এর পরিধি বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও।

ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজ যেখানে কোনও ব্যক্তি নিজের কাজ করতে অন্যদের বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে কোনও নির্দিষ্ট প্রকল্পে যোগদান করে এবং নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে তারা সেবা প্রদান করে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, কাজের পরিমাণ ও সময়ের নির্ধারণ করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং সাধারণত অনলাইনে প্ল্যাটফর্মগুলোতে হয় এবং এটি আপনাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করার সুযোগ দেয়, যেমন লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও সম্পাদনা ইত্যাদি।

আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার এবং গুরু ডট কম এমন ৫টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট যা নতুনদের জন্য মার্কেটপ্লেস হিসেবে খুবই উপযুক্ত। নির্ভরতার দিক থেকে এবং সেবার মানের জন্য অধিকাংশ অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা এই ৫টি সাইটকে নতুনদের ব্যবহারের উপযোগী বলে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক জনপ্রিয় এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো সম্পর্কে-

আপওয়ার্ক

আপওয়ার্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর একটি। আপওয়ার্কে মূলত দুই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ঘন্টাভিত্তিক এবং মূল্যভিত্তিকভাবে এই কাজগুলোর কন্ট্রাক্ট হয়ে থাকে। এই সাইটে কেউ কোনো কাজ ঘন্টাভিত্তিকভাবে করলে ক্লায়েন্টপ্রতি ঘন্টার নির্দিষ্ট রেট অনুযায়ী কাজের জন্য অর্থ পরিশোধ করে থাকেন। আর মূল্যভিত্তিক হলে কাজের জন্য নির্দিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী ক্লায়েন্ট অর্থ পরিশোধ করেন।

তবে এক্ষেত্রে কোনো একটি জব বিড-এর জন্য আপওয়ার্ক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা ফি নিয়ে থাকে। এছাড়াও পেমেন্টের ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ এই সাইটকে ফি দিতে হয়। তবে বিনা ঝামেলায় ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, পেওনিয়ার, ডিরেক্ট ডিপোজিট ইত্যাদির মাধ্যমে ফি ছাড়া পেমেন্টের টাকা উত্তোলন করতে পারেন ফ্রিল্যান্সাররা।

মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামী প্রতিষ্ঠানও আপওয়ার্কের ফ্রিল্যান্সার দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে থাকে। আপওয়ার্কের কাজের পরিমাণ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তাই দক্ষতা থাকলে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আপওয়ার্ক মূলত ওডেক্সের পূর্বসূরী। ওডেক্স ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম কোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিশ্বে হাজির হয়। ২০১৫ সালে ওডেক্স পরিবর্তিত নামে বাজারে আসে আপওয়ার্ক হিসেবে।

ফাইভার

ফাইভার মূলত একটি ‘গিগ’ ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সেবা ছোট ছোট প্যাকেজে অফার করে। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো যেকোনো কাজে বিড করার জন্য ফাইভারকে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। তাই একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য খুবই দারুণ এবং সুবিধাজনক একটি সাইট এটি। কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেরই ছোট-বড় কাজের সুবিধা রয়েছে এতে।

নতুনদের জন্য ফাইভারকে উপযুক্ত ভাবার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই সাইটে সাধারণত ক্লায়েন্টরা সস্তায় কাজ করিয়ে থাকেন। তাই নতুনদের এইখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

২০১০ সাল থেকে বাজারে ফাইভার বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের, বিশেষ করে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় সাইট হয়ে দাঁড়ায়। ফাইভ ডলার বা পাঁচ ডলার ব্যয়েও এখান থেকে যে কোনো কাজ করিয়ে নেয়া যায় এমন তত্ত্বে এই সাইটের উৎপত্তি হয়।

পিপল পার আওয়ার

এই সাইটে ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে বিজনেস সাপোর্টের সব ধরনের কাজ করা যায়। মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ বিড করার পাশাপাশি সার্ভিস সেল করেও কাজ পাওয়া যায়। সার্ভিস সেল হচ্ছে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর নিজের ব্যাপারে পোষ্ট করা। পোষ্টের মধ্যে যে কোনো কাজের জন্য কাঙ্ক্ষিত অর্থমূল্যও নির্ধারণ করে দেয়া যায়।

এই মার্কেটপ্লেসে কাজের রেট অনেক বেশি, তাই অনেকেই এখন কম সময়ে বেশি আয় এবং সুযোগ-সুবিধার ওপর নির্ভর করে এই মার্কেটপ্লেসকে বেছে নেন। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই মার্কেটপ্লেসটি।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম

সফটওয়ার, মোবাইল ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন থেকে শুরু করে কপিরাইটিংসহ নতুনদের জন্য অপ্রতুল কাজ রয়েছে এই সাইটে। আপওয়ার্কের মতো ঘন্টাভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক কাজের পাশাপাশি এখানে রয়েছে প্রতিযোগিতাভিত্তিক কাজ। এই কাজের পদ্ধতি নতুনদের জন্য চমকপ্রদ। ক্লায়েন্ট একটি নির্দিষ্ট অর্থ পুরষ্কার ঘোষণা করে কাজ ছেড়ে দেয় মার্কেটে। সব ফ্রিল্যান্সার তাদের কাজগুলো নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার সেখান থেকে সবচেয়ে ভালো কাজকে বাছাই করে পেমেন্ট বা অর্থ পুরস্কার দেন ক্লায়েন্ট।

২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানটি বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই বেশ গ্রহণযোগ্যতা পায়। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার এই সাইটে কাজ করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সার ডট কমে প্রায় ১৮০০ ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। 

গুরু ডট কম

এই সাইটের ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত নির্ধারিত ক্ষেত্রে বেশি কাজ করে। কারণ সাইটটিতে প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেকচার, সেলস এন্ড মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, রাইটিং এই জাতীয় ক্ষেত্রের চাহিদা বেশি। সেইসঙ্গে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বিষয়ক কাজের চাহিদা এবং পরিমাণ অন্যসব সাইটের তুলনায় অনেক বেশি।

এই সাইটে ফ্রিল্যান্সররা গ্রুপ হয়ে কাজ করতে পারেন। সাধারণত বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজেক্ট এইখানে পাওয়া যায়; ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধবরা একসঙ্গে কাজ করে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গে ১৯৯৮ সালে মুনলাইটার ডট কম নামে যাত্রা শুরু করে এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে সফল হতে চাইলে শুধুমাত্র দক্ষতা নয়, সঠিক প্ল্যাটফর্ম বাছাই করাও জরুরি। উপরের সাইটগুলো একদিকে যেমন আয়ের সুযোগ দেয়, অন্যদিকে গড়ে তোলে একটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিয়ম-কানুন, পেমেন্ট পলিসি এবং কাজের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে শুরু করাই উত্তম।