News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র কাপ্তাইয়ে কল্পনাতীত লোডশেডিং!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2025-07-15, 6:11am

1e2110900d55484692e7b0a51e7c8989bf2d7e8d20df9061-6dee47b4d9477bec255631510ab93e831752538267.jpg




জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও, সেই কেন্দ্রের পাশেই কাপ্তাই উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং, হঠাৎ হঠাৎ বিভ্রাট— এসব মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জনজীবনের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুধু দিনের আলোতেই নয়, ধর্মীয় উপাসনার গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতেও বিদ্যুৎ চলে যায় নিয়মিত। মুসলমানদের নামাজ, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার সময় বিদ্যুৎ না থাকা যেন একটি দৈনিক রুটিনে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে ‘ইচ্ছাকৃত বিদ্যুৎ বিভ্রাট’ বলেও অভিযোগ করছেন।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ আরও বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটাচ্ছে। কাপ্তাই আবাসিক প্রকৌশল কার্যালয় এবং কন্ট্রোল রুম থেকে পূর্বশত্রুতার বশে এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

তারা দাবি করেন, বিদ্যুৎ সাপ্লাই বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে সাধারণ মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

কাপ্তাই নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের হার অস্বাভাবিক। প্রতিদিন গড়ে ১৫–২০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়, একেকবার চলে যায় দুই-তিন ঘণ্টা করে। এতে ব্যবসায়ীদের বিরাট লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কাপ্তাইয়ে অবস্থিত সরকারি দফতর, হাসপাতাল, এনজিও, শিল্পকারখানা, ব্যাংক, বীমা, স্কুল-কলেজ, পলিটেকনিক, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিদ্যুৎ না থাকায় এসব স্থাপনায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। কেউ লিখেছেন, ‘ঝড় নেই, বৃষ্টি নেই, তবুও বিদ্যুৎ নেই।’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘বাতির নিচেই সবচেয়ে বেশি অন্ধকার, কাপ্তাই পিডিবি যেন পল্লী বিদ্যুৎকেও হার মানিয়েছে।’

এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা আবাসিক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এ কে এম শামসুল আরেফিনের বক্তব্য নিতে দফতরে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এমনকি সরকারি মোবাইল নম্বরেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

চন্দ্রঘোনা আবাসিক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা দূর করে দ্রুত সমাধান না হলে, আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।