News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি, ভোগাচ্ছে পানি সংকট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-03-24, 5:36pm

452342342-61d18a8a5c7655ee6b0e12695cdfae8a1742816208.jpg




সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশনের অদূরে তেইশের ছিলা ও শাপলার বিল এলাকায় লাগা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা রোববার রাতভর চেষ্টা করলে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পানি সংকটের জন্য কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।   

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা সম্মিলিত ভাবে অগ্নি নির্বাপনে কাজ করছেন। কেউ পানি ছেটাচ্ছেন, কেউ কাঁচা গাছের ডাল কেটে পিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন, আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা জায়গা পাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে সুপ্ত আগুন জ্বলে উঠছে। আগুনের ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস মরা ভোলা নদী প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হওয়ায় পানির ছেটাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের। এ ছাড়া নদীটির নাব্যতা কমে যাওয়ায় ভাটার সময় কোন পানি থাকছে না। যার ফলে শুধু জোয়ারের সময় পানি দিতে পারছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এই কারণে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

এর আগে রোববার সকালে ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের ধানসাগর টহল ফাঁড়ির অন্তরগত তেইশের ছিলা এলাকায় আগুন শনাক্ত করে বন বিভাগ। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান বলেন, আগের থেকে আগুনের প্রকোপটা এখন কম। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, তবে পানি সব সময় পাওয়া যাচ্ছে না। রাতে বেলায় এই দুর্গম বনে কাজ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। আবার ভাটার সময় নদীতে পানি থাকে না। তাই সব সময় পানি দেওয়া যাচ্ছে। সকালে এখন জোয়ার থাকায় পানি ছেটানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাতে জোয়ার যতক্ষণ ছিল আমরা পানি দিতে পেরেছি। পানি দেওয়ার ফলেই আগুনের প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে। এখানে মাটির উপর শুকনো পাতা, মরা ডালপালার একটি স্তর রয়েছে। একটা সময় যখন ভাটা হয়ে যায় তখন পানি দিতে পারি না, তখনই দেখা যাচ্ছে আবার কোথাও থেকে ধোঁয়া, আগুন বের হচ্ছে। এ জন্য এখনই বলা যাচ্ছে না, কতক্ষণে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, রাত থেকেই আগুন লাগা এলাকায় পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। বন বিভাগ গতকালও সারা রাত কাজ করে আগের স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গেল রাতে বন বিভাগ ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ছিল। 

তিনি আরও বলেন, এখানে আগের চেয়ে পানি পেতে বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে। ভাটার সময় নদী শুকিয়ে যায়। ফলে পানি দেওয়াও বেশ চ্যালেঞ্জিং। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।আরটিভি