News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে ‘৭.৭ মাত্রার’ ভূমিকম্প

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-03-29, 4:09pm

tryretretrewr-479950f433ace6899e70ec1c7014e6d01743242956.jpg




বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে ‘৭.৭ মাত্রার’ ভূমিকম্প এ কথা জানিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (২৯ মার্চ) গণমাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প হওয়ার পর বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে এ আহ্বান জানায় ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুইটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। ফলে উক্ত দেশ দুটি বেশ ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে।

(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা;

(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;

(৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা;

(৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা;

(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা;

(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা;

(৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন কার্যকর ভূমিকা রাখা;

(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা। যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়;

(৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

উপরোক্ত বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সতর্কতায় ভূমিকম্পের ন্যায় ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সীমিত রাখি। 

যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:

মিডিয়া সেল

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর

মোবাইল: ০১৭২২৮৫৬৮৬৭

এবং 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স

হটলাইন নম্বর: ১০২

ওয়েবসাইট: www.fireservice.gov.bd