News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

সেন্টমার্টিনে ভাঙন আতঙ্ক, নৌযান চলাচল বন্ধ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-07-27, 5:56am

0c82ecd1996a1f9c0c9ad82a374afcc79443b0daf72a4078-da1444f9bf182ad2c7dc2a8690a5ceac1753574185.jpg




নিম্নচাপ ও অম্যাবসার প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছেন তিনদিন ধরে। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১-৩ফুট অধিক উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় দ্বীপের বিভিন্ন অংশের গাছপালা ভেঙে লোকালয়ে জোযারের লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে করে আতঙ্কে রয়েছেন দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম।

ইউপির চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, অম্যাবাসর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১-৩ফুট অধিক উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে দ্বীপের বিভিন্ন অংশের গাছপালা ভেঙে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করছে। এতে করে শতাধিক বসতঘর প্লাবিত হয়েছে। জোযারের ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। দ্বীপের চারদিকে জিও ব্যাগ বা ব্লক ফেলানো না হলে মানচিত্র থেকে সেন্টমাটিন দ্বীপ হারিয়ে যাবে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিনদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দ্বীপে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি। নিরাপত্তার স্বার্থে মাছ ধরার ট্রলারগুলো জেটির আশপাশে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে দ্বীপের মানুষ খাদ্য ও নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্য সংকটে ভোগে আসছিল। এখন নৌযান বন্ধ থাকায় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে এসেছে। আরও কয়েকদিন এভাবে থাকলে খাদ্যপণ্য এবং টেকনাফ থেকে কোনো খাদ্য পণ্য না পৌঁছালে খাদ্য সংকট দেখা দিবে প্রকট। এখানকার মানুষের কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে সি ট্রাক ও সি অ্যাম্বুলেন্স চালু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।’

টেকনাফ পৌরসভার কাযুকখালীযাখালের সার্ভিস ট্রলারের টিকেট বিক্রেতা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এ নৌরুটে যাত্রীবাহী চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ার কারণে মালিক সমিতি ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেন। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রলার চলাচল শুরু করবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ জানান, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মালামাল আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বীপবাসী কর্মহীন অবস্থায় আরও দুর্বিষহ সময় পার করছেন। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার নৌযান চালু হবে। সর্বশেষ গত বুধবার টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে তিনটি সার্ভিস ট্রলার সেন্টমাটিন গেছে।

সেন্টমার্টিনের ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, জোয়ারের দ্বীপের চারদিকে ভাঙন ধরেছে। বিভিন্ন অংশ দিয়ে জোযারের লবণাক্ত পানি লোকায়লে ঢুকে পড়েছে। জরুরি ভিত্তি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সেন্টমাটিন দ্বীপ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, তিনদিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ। বাজারে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে পারিবারিক কাজে টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরে গিয়ে আটকা পড়েছেন দুইশতাধিক মানুষ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার নৌযান চালু হবে।