News update
  • Sikaiana Islanders Face Rising Seas and Uncertain Future     |     
  • BD Election Commission to begin political dialogue this week     |     
  • Climate summit hears countries suffering from global warming      |     
  • How to Visit Saint Martin’s Island in This Tourist Season 2025-26     |     
  • Khulna-Mongla dream rail line struggles for freight flow     |     

ধানের মাঠ যেন জাতীয় পতাকা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2023-03-09, 7:58am

resize-350x230x0x0-image-215058-1678310374-580323ebf9caa7b5a16d5013b3c5e9451678327096.jpg




প্রান্তিক কৃষক মো. এনামুল হক। পুরো খেতজুড়ে দেশের জাতীয় পতাকা এঁকে শস্যচিত্র তৈরি করেছেন। ধান গাছ বড় হতে হতে তা চোখে পড়ছে স্পষ্ট ভাবেই। তকতকে সড়কে চলতে গিয়ে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে হঠাৎ চোখ আটকে যায় পথচারীদের ব্যতিক্রমী এক ফসলি জমিতে। সেখানে ধান গাছ দিয়ে দেশের জাতীয় পতাকার শস্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এরইমধ্যে এ চিত্রটি সাড়া ফেলেছে সবার মাঝে। এমন ফসিলি চিত্র চোখে পড়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মাওনা বরমী আঞ্চলিক সড়কের পাশে বেকাশহরা গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে এনামুল হকের (৪১) ধানি জমিতে।

সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে টেংরা বাজার পার হলেই মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়ক ঘেঁষা ধানের জমিতে চমৎকার ভাবে জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধান আর সবুজ ধান মিশ্রণে জাতীয় পতাকার এক অনন্য শস্যচিত্র কর্ম। জাতীয় পতাকার চতুর্ভুজের বেশিরভাগ জুড়ে লাগিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু’ জাতের সবুজ রঙের ধান। মাঝখানে বৃত্ত নির্মাণ করেছেন জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি রংয়ের ধান গাছ। পতাকার খুঁটি ব্যবহার করেছেন সবুজ রঙের ধান গাছ লাগিয়ে। এরপর পতাকার অংশটুকু আকর্ষণীয়ভাবে দৃশ্যমান রাখতে পুরো জমিতে বেগুনি ধান রোপণ করেছেন। পতাকার মাঝে বেগুনি ধানে বৃত্ত এঁকেছেন। সড়ক থেকে বিস্তীর্ণ মাঠে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যাওয়া সবুজ ভূমিতে একটি উড়ন্ত জাতীয় পতাকা দেখে। এ পথে চলাচলকারী পথচারীরা থমকে যান শস্যচিত্রের পতাকা দেখতে।

কৃষক এনামুল হক বলেন, ২০২১ সালে প্রথম তার এক বিঘা জমিতে জিঙ্ক বেগুনি ধান রোপণ করেন। সে বছর দারুণ ফলন হয় বেগুনি ধানের। এটা দেখে তার বাতিক্রমী চিন্তা আসে মাথায়। এর পর তিনি মায়ের প্রতি ভালোবাসা রেখেই জমিতে নান্দনিক ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেন ‘মা’ লেখা এক অনন্য শস্য চিত্রকর্ম। এক বিঘা জমিতে বাংলায় 'মা' শব্দটিকে শস্যচিত্রে রূপ দেন তিনি চমৎকার ভাবে। সে সময় আগত দর্শনার্থীরা সেই মা লেখা শস্যচিত্র দেখে দারুণ প্রশংসা করেছিলেন। সেই উৎসাহ থেকে এ বছর জাতীয় পতাকা শস্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করেন। এরপর সেই অনুযায়ী রোপণ করেন দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই তার এই আয়োজন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জিসান বলেন, কৃষক এনামুলের শস্য চিত্রকর্ম বেশ সাড়া ফেলে। এর আগেও মা লিখে দারুণ প্রসংশিত হয়েছিলেন তিনি। সে সময় ফসলি জমিতে বেগুনি ধান ও সবুজ ধানের মিশ্রণে মা লেখা চিত্রকর্মটি ভাইরাল হয়েছিল। এবারও সবুজ পতাকার একটি দারুণ শস্য চিত্রকর্ম এঁকেছে ফসলি জমিতে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।