News update
  • Tk 3.38cr Project to Restore Sonadia’s Biodiversity     |     
  • Global Emissions Fall Slowly, Experts Urge Renewables Push     |     
  • Hurricane Melissa: UN Appeals $74M to Aid 2.2M in Cuba     |     
  • Doha Summit Stresses Urgent Investment in People and Peace     |     
  • Sand syndicates tighten grip on Bangladesh's northern region     |     

বিচারকাজে ধীরগতি, আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় দুর্নীতিবাজরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-07-08, 11:37am

reyertwt-8cdc2a6272cf08472cc1d3a58a67f2801720417062.jpg




বছরের পর বছর কেটে যায়, নিষ্পত্তি হয় না দুর্নীতির মামলা। বিচারের ধীরগতির কারণে ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় দুর্নীতিবাজরা। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দায় এড়াতে পারে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কাগজে-কলমে আইনের দিক থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কমিশন দুদক। তবে সেই ক্ষমতার কতখানি কাজে লাগাচ্ছে সংস্থাটি? মাঝে মধ্যেই রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কিংবা মামলা আলোচনায় এলেও সেই মামলার বেশিরভাগই বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে বিচারাধীন কিংবা তদন্ত পর্যায়ে।

দুদকের তথ্যমতে, দেশের বিভিন্ন আদালতে ৭ হাজারেরও বেশি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন ৪ হাজার ১০৪টি। ঢাকার আদালতে ৮৯৪ এবং ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলায় আদালতে ঝুলছে ২ হাজার ১১০টি মামলা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ২০টি মামলা। এতে ৫৬ জনের সাজা ও খালাস পেয়েছেন ৩২ জন।

অন্যদিকে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হাইকোর্টে ৩৩৫টি আপিল হয়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৬টি মামলা। এ সময়ে আপিল বিভাগে ১৯ ও হাইকোর্ট বিভাগে ৪২৬টি মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এর বাইরে ২০০৪ সালে বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর করা ৩৫৪ মামলার মধ্যে চলমান ১৭৬ ও উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে ১৭৮টি।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আইনজীবী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচারকাজে ধীরগতি ও দীর্ঘসূত্রিতায় দুর্নীতিবাজরা আরও বেশি সুযোগ নিচ্ছে। তারা বলছেন, মামলা নিষ্পত্তিতে ধীরগতির দায় দুদকের।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী সময় সংবাদকে বলেন,দুদক আইন ২০০৪ সালে হওয়ার পর ২০২৪ সাল পর্যন্তও সংস্থাটি একটি স্থায়ী প্রসিকিউশন ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেনি। এখানে দুদক চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সভাপতি জেড আই খান পান্না বলেন, ‘বড় বড় দুর্নীতিবাজরা বিমানবন্দর থেকে চলে যায় কীভাবে? এর কৈফিয়ত কে দেবে? দুদককেই দিতে হবে। কারণ তদন্তের অধিকারও তাদের আছে, ওয়ারেন্ট ইস্যু করার অধিকারও আছে। দুদক সোজা হয়ে না দাঁড়ালে দুর্নীতি থাকবেই।’  

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলছেন, ‘লোকবল সংকটের কারণেই এই ধীরগতি। তবে এসব মামলা নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, কোনোটা মাঝ পথে আটকে গেছে। কোনোটার প্রয়োজনীয় সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এ ছাড়া লোকবল সংকট তো রয়েছেই।

দুর্নীতির মামলা শুনানির জন্য ঢাকায় বিচারিক আদালতে ১৩ ও উচ্চ আদালতে রয়েছে এখতিয়ারভুক্ত ১০টি বেঞ্চ। এখানে দুদকের পক্ষে মামলা লড়ছেন ৩৬ জন আইনজীবী। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই খণ্ডকালীন।  সময় সংবাদ