News update
  • NCP Khulna Chief Critically Shot Amid Rising Political Violence     |     
  • Indian MP Warns Bangladesh Faces Rising Lawlessness     |     
  • Law and Order Must Be Ensured Ahead of Polls: Prof Yunus     |     
  • Tough times ahead, everyone must remain united: Tarique Rahman     |     
  • Sirajganj’s luxuriant mustard fields bloom as an oasis of gold     |     

৫৬ শতাংশ কোটায় কার কত?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-07-10, 11:16pm

fdvsdsdgds-f0e72532660bf71fb3447ee9d14e76b21720631761.jpg




সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গত ৫ জুনের পর থেকে সড়কে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনে তাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়কে বেড়েছে ভোগান্তি।

তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা কোটা বাতিল চাইনি। আমরা এর যৌক্তিক সংস্কার চাই। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে ব্লকেডের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজট ছড়িয়ে পড়ে সড়ক থেকে অলিগলিতে। এছাড়া এদিন ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচলও কয়েক ঘণ্টার জন্য আটকে যায়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, আসলে সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা কতটুকু?  

সরকারি তথ্যমতে, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দেশে ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হতো। বাকি ৮০ শতাংশ পদে নিয়োগ হতো কোটায়। ৭৬ সালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়। ৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ দেয়া হয়। এর আওতায় ছিল ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা ও ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা। পরে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু হলে কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশে।

তবে তথ্য বলছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার বিপুল পদ শূন্য থাকত। একপর্যায়ে উপযুক্ত কোটাধারী না পেলে মেধাতালিকা থেকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।

১৯৭২ সাল থেকে কোটা ব্যবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে আসছিল। ২০১৮ সালের এক পরিপত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগে কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হয়।  

পরে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগে কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (আগের ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (আগের ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়। নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ ও প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়। 

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ বাতিল চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সরকারের পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার আদেশ দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে নিয়মিত আপিল করতে বলেন। ফলে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ও আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোট বহাল থাকছে।

এই কোটার বিরুদ্ধেই আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।  সময় সংবাদ