News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

রাঘববোয়ালরা দেশ ছাড়ার আগে কোথায় থাকে দুদক?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-07-11, 11:26am

etewtwetwet-45458d3ef4af3d0d0794f262c159c0811720675623.jpg




২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠনের পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়ছে। এর ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ অভিযোগ আমলেই নেয়নি সংস্থাটি। আর আমলে নেয়া অভিযোগগুলোর মধ্যে মামলা এবং সাজার সংখ্যা আরো অনেক কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুদক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে রাঘববোয়ালরা লাপাত্তা হওয়ার পর। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর অনেক ক্ষেত্রেই ইচ্ছাকৃত সময়ক্ষেপণ করে দুদক; এতে পার পেয়ে যান অনেকে।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান বা আব্দুল হাই বাচুচর মতো দুর্নীতিবাজদের বেলায় শুরুর দিকে নিরব থেকে পরে সরব হয়েছে দুদক। এতে সবাই দেশে ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান বা আব্দুল হাই বাচুচর মতো দুর্নীতিবাজদের বেলায় শুরুর দিকে নিরব থেকে পরে সরব হয়েছে দুদক। এতে সবাই দেশে ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে।

কখনো নিজেদের তথ্যে, আবার কখনো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নথিভুক্তির মাধ্যমে ঘটে অনুসন্ধানের সমাপ্তি। আর মামলা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির দায়মুক্তি ঘটছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

অর্থাৎ, দুর্নীতি প্রমাণ করতে পেরে সাজা ভোগ করানো গেছে -- এমন ব্যক্তির সংখ্যা হাতে গোনা। আর এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে আপিলের দীর্ঘসূত্রতাকে আরও বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করছেন সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যে মামলাগুলো দুদকের আদালতে আছে, বছরে তার ১০ শতাংশও নিষ্পত্তি হয় না। ট্রায়ালকোর্টে ঠেলেঠুলে হয়তো মামলার বিচার হয়ে গেল; কিন্তু হাইকোর্টে গিয়ে তা আবার জমে যাচ্ছে; হচ্ছে না নিষ্পত্তি।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানও বলছেন, বিচারিক প্রক্রিয়ার কারণেই এ দীর্ঘসূত্রতা। তিনি বলেন, সপ্তাহে আপিল শোনা হয় একদিন বা দুদিন। আরও অনেক প্রক্রিয়া আছে, যে কারণে দেরি হয়। আবার অনেক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। যাই হোক, দুর্নীতিবাজ বড় হোক বা ছোট হোক, সবার বিরুদ্ধেই সজাগ ও সক্রিয় দুদক।

এসব ছাপিয়ে রাঘববোয়ালদের লাপাত্তা হওয়া ঠেকাতে না পারায় প্রচুর সমালোচনা রয়েছে দুদকের বিরূদ্ধে, যা নতুন করে উঠলো পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর, সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রসঙ্গে। একইভাবে দুদককে অন্ধকারে রেখে লাপাত্তা হয়ে আছেন বেসিক ব্যাংকের আব্দুল হাই বাচ্চুসহ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তি। অনেকে আবার পালিয়েছেন দুদকের নাকের ডগা দিয়ে। তাদের দেশ ছাড়ার পর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। ।

সম্প্রতি বেনজীর আহমেদের সপরিবারে লাপাত্তা হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠেছে, ব্যবস্থা গ্রহণে দেরি করেছে কেন দুদক। দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, দুজনের মধ্যে একজন কমিশনার দেশের বাইরে থাকায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হয়েছিলো।

তবে, দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলামের মতে, ‘এগুলো খোঁড়া অজুহাত। তিনি বলেন, এখানে দুজন কমিশনারের মধ্যে যদি একজন দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে কমিশন অচল হয়ে যাচ্ছে না। কারণ, একজন কমিশনার ও একজন চেয়ারম্যান তো ছিল, তারা মিলেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন এবং তারা ওই সময় কেন সিদ্ধান্ত নেননি সে জবাব দিচ্ছেন না। তাদের কাছে সেই জবাব নিতে হবে। তাহলেই হয়তো কারণ জানা যাবে।’  

সংশ্লিষ্টদের মতে, দুর্নীতি দমনে দুদকের থাকতে হবে সদিচ্ছা, ব্যবহার করতে হবে সব হাতিয়ার। নিজেদেরও থাকতে হবে দুর্নীতিমুক্ত।