News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

কোটা আন্দোলনকারীদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা কেন?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-07-12, 7:37pm

reyeryrtww-b10a9245e955020972baae2b527c26721720791442.jpg




সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে সড়ক আটকে রেখে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে নানামুখী স্লোগানে বিক্ষোভ করছেন তারা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে দিকে অগ্রসর হন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে দেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকাও দেখা যায়। এর কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, ফিলিস্তিনের পতাকা সারা বিশ্বে নির্যাতিতদের প্রতীক। তাই এই পতাকা হাতে নিয়ে কোটার নামে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।

আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থী জানান, পুলিশ দিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসনকে যৌক্তিক জবাব দিতে হবে। কোটা সংস্কারের পরই তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। কোনোভাবেই যাতে আন্দোলনকারীরা বাংলামোটরের দিকে এগোতে না পারে সেটি নিশ্চিতের চেষ্টা করছেন তারা।

আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। এছাড়া ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা ছিল। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ। 

কোটা বাতিল করে সরকারের পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর রুল দেন হাইকোর্ট। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালতে হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে ৪ জুলাই। রিট আবেদনকারীপক্ষ সময় চেয়ে আরজি জানালে সেদিন আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে গত মঙ্গলবার আবেদন করেন দুই শিক্ষার্থী।

দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। কিছু পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেয়া হয়। এই স্থিতাবস্থা চার সপ্তাহের জন্য উল্লেখ করে আপিল বিভাগ আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে আদালতের আদেশ মানবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা অপেক্ষা করছেন নির্বাহী আদেশের।  সময় সংবাদ