News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

পত্রিকার আবেদন তলানিতে, মোবাইলে খবর পড়েন ৫৯ শতাংশ মানুষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-02-06, 4:47pm

ert45435-79cc19cdb68aec50b3116433489e2c6a1738838836.jpg




প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না ছাপা পত্রিকা। সকালের প্রথম চায়ে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকার পাতা খুলে বসার দৃশ্য এখন খুবই বিরল। ছেলে-বুড়ো সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন; স্ক্রিন অন করলেই ভেসে ওঠে কোনো না কোনো খবর। এ ছাড়া চাইলেই এখন দিনের যেকোনো সময় সব ঘটনার সবশেষ আপডেট নেওয়া যায়, গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনের সুবাদে; তাও আবার নামমাত্র খরচে। ফেসবুকে ঢু দিতে গেলেই দিনের গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর সব সংবাদ এসে পড়ে সামনে। ফলে, ক্রমেই আবেদন হারাচ্ছে ছাপা পত্রিকা। বিপরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে পাঠক বাড়ছে  মোবাইলে অনলাইন সংস্করণের। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতাদের মনোভাব জানার জন্য পরিচালিত এক জরিপেও মিলেছে এর প্রমাণ। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য জরিপটি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উঠে এসে জরিপের ফলাফল, যেখানে দেখা গেছে, দেশের ৫৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণে খবর পড়েন।

অপরদিকে, জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা ছাপা পত্রিকা পড়েন না। কারণ হিসেবে ৪৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, খবরের কাগজ পড়ার প্রয়োজন মনে করেন না তারা। টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশের বেশি। তবে, ৬৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা টেলিভিশন দেখেন।

এ বছর ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার খানা (হাউসহোল্ড) থেকে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের বিস্তার, মানুষের সংবাদ গ্রহণের অভ্যাসের পরিবর্তন, গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। এতে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তারা মুদ্রিত খবরের কাগজ না পড়লেও মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণ দেখেন। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ দেখেন বলে জানিয়েছেন আড়াই শতাংশ উত্তরদাতা।

সামগ্রিকভাবে ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তবে, এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের হার মাত্র ৭ শতাংশ। 

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে খবরের জন্য ৩১ শতাংশ উত্তরদাতার আস্থা রয়েছে ফেসবুকে। ইউটিউবে আস্থা রাখার কথা জানান ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। 

কোনো কিছু শেখা বা জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে শিক্ষকের ওপরই ভরসা বেশি। এ ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতার কাছে শিক্ষকেরাই সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য।

জরিপে বলা হয়, সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমের ওপর মানুষ আস্থা হারাননি। তবে, রাজনৈতিক, সরকারি ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হিসেবে দেখছেন তারা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জরিপের তথ্য উল্লেখ করে আরও বলা হয়, জাতীয় দুর্যোগ বা সংকটে তথ্য খোঁজার জন্য এখনো মানুষ চোখ রাখেন টেলিভিশনের পর্দায়। তবে, তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে রেডিওর প্রাসঙ্গিকতা একদম তলানিতে। ৯৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা রেডিও শোনেন না। তাদের ৫৪ শতাংশ বলেছেন, তারা রেডিও শোনার প্রয়োজন মনে করেন না। অন্যদিকে প্রায় ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রেডিও সেটের অপ্রাপ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন।

গণমাধ্যমকে স্বাধীন, পক্ষপাতহীন, সরকারি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত হয়েছে জরিপে। আরটিভি