News update
  • Inflation Dips to 8.29% in August, Lowest in 3 Years     |     
  • Eminent writer Badruddin Umar passes away     |     
  • Dhaka’s air recorded ’moderate’ Sunday morning     |     
  • Clashes in Hathazari over FB post; Section 144 imposed     |     
  • Total Lunar Eclipse to Be Visible Sunday Night     |     

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ফেসবুকে আলোচনা গাজওয়াতুল হিন্দ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-04-26, 7:37pm

werew34234-80e468e139802b7e2f97b6743835bf5f1745674665.jpg




দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তান। পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা দৃশ্যমান। অনেকেই কাছে চিরশত্রুর তকমাও পেয়েছে দিল্লি-ইসলামাবাদ। সীমান্তে নিয়মিত সংঘাতের পাশাপাশি একাধিকবার বড় ধরনের যুদ্ধেও জড়িয়েছে দেশ দুটি। সংঘাতের মূল কারণ কাশ্মীর। সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ফের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানিদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত, সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ, সিমলা চুক্তি বাতিলসহ ওয়াঘাহ সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

বিশ্লেষকদের ধারণা, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্পি কঠোর পদক্ষেপের কারণে ফের যুদ্ধ বাঁধতে পারে। বিশেষ করে, সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করায় উত্তেজনায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

ইসলামাবাদ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভারতের এ ধরনের পদক্ষেপ ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ এবং তার জবাব দেওয়া হবে ‘সকল ধরনের প্রচলিত ও অপ্রচলিত (অর্থাৎ পরমাণু) শক্তি দিয়ে।

এদিকে, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যে সামাজিক যোগামাধ্যমে গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকেই লিখেছেন, দিল্লি-ইসলামাবাদের উত্তেজনা গাজওয়াতুল হিন্দ-এর দিকে যাচ্ছে। 

ইরফান নামে একজন লিখেছেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বর্তমানে যেকোনো সময়ের চেয়েই বেশি খারাপ। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধ বাঁধতে পারে। এতেই বুঝা যায় সামনেই হয়তো গাজওয়াতুল হিন্দের দেখা মিলবে।

ফেসবুকে তোফায়েল নামে আরেকজন লিখেছেন, আসছে গাজওয়াতুল হিন্দ। সবাই প্রস্তুত তো? বিশ্বনবীর ভবিষ্যদ্বাণীতে মুসলমানদের বিজয় নিশ্চিত। 

মিলন লিখেছেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। ঢাকার সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠাতা বাড়ছিল। সবকিছু মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো সম্পর্ক কমে আসছে। এরমধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের সরাসারি উত্তেজনা, যেকোনো সময় যুদ্ধ বাঁধতে পারে। সব বিশ্লেষণে পরিষ্কার, সামনেই গাজওয়াতুল হিন্দ।

এমন আরও অনেকেই পাক-ভারত উত্তেজনাকে শেষ পর্যন্ত গাজওয়াতুল হিন্দ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

গাজওয়াতুল হিন্দ কি

‘গাজওয়া’ অর্থ যুদ্ধ, আর ‘হিন্দ’ বলতে এই উপমহাদেশ তথা পাক-ভারত-বাংলাদেশসহ শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানকে বুঝায়। অথ্যাৎ গাজওয়াতুল হিন্দ হচ্ছে ইসলামের সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) একটি ভবিষ্যদ্বাণী, যেখানে উল্লেখ আছে, ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে, যাতে মুসলমানদের বিজয় ঘটবে। 

হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে আমি আমার জান-মাল সব কিছু তাতে ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।

হজরত সাওবান রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে হতে দুটি দলকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যুদ্ধে শরিক হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি দল, যারা ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করবে।

হাদিসে গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, এটা হবে কাফের বা মুশরিকদের সঙ্গে মুসলমানদের বৃহত্তর জিহাদ বা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিন্দুস্থানের মোট মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হবে, আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষ অংশ জিহাদ চালিয়ে যাবে এবং চুড়ান্ত বিজয় লাভ করবে।

গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে আরও অনেক হাদিস রয়েছে। ইসলামিক স্কলাররা এ নিয়ে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, গাজওয়াতুল হিন্দ ইতোমধ্যে হয়ে গেছে নাকি ভবিষ্যতে হবে তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারও মতে, গাজওয়াতুল হিন্দ হয়ে গেছে। আবার কেউ বলছেন, এই বিজয় এখনও বাকি এবং ইমাম মাহাদির আগমনের পর বা আগে হবে এই বিজয়।আরটিভি