News update
  • Interim govt plans promotion drive to boost bureaucracy     |     
  • Pakistan Reels Under Monsoon Deluge as Death Toll Climbs      |     
  • Prof Yunus stresses transparency in finalising July Charter     |     
  • Fakhrul suspects plot to thwart February polls     |     
  • UN Warns Gaza Children Face Starvation Amid Total Collapse     |     

আসছে যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক প্লেন, কমবে খরচ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-06-24, 10:09am

ilekttrik_plen_thaamb-1-61eb63eb93d455ed0985556d37026c931750738149.jpg




বিমান পরিচালনায় প্রতিদিন ইতিহাস তৈরি হয় না, তবে ২০২৫ সালের জুন মাসটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরী এবং বিশ্বের জন্য ইলেকট্রিক বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবেই থেকে যাবে। এই মাসটি এজন্য অনন্য যে, এই সময়টাতেই জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী একটি বৈদ্যুতিক বিমান সফলভাবে অবতরণ করেছে। এটি কোনো পরীক্ষামূলক ফ্লাইট ছিল না। মানুষ বহন করছিল এই ইলেকট্রিক প্লেনটি। খবর ফক্স নিউজের।

যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট হ্যাম্পটন থেকে জন এফ কেনেডিতে উড়ে আসা এই ইলেকট্রিক প্লেনটি চালাতে মূল নিয়ন্ত্রণ ছিল বেটা টেকনোলোজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাইল ক্লার্কের হাতে। চারজন আরোহী নিয়ে আকাশে ওঠে বিমানটি এবং ৭০ নটিক্যাল মাইল পথ পাড়ি দেয় মাত্র আধা ঘণ্টায়। পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত এই বিমানটি তার আরোহী নিয়ে নীরবে এবং বিশ্বস্ততভাবে নিউইয়র্কের আকাশপথ পাড়ি দেয়।

এ সম্পর্কে কাইল ক্লার্ক বলেন, ‘এটা ১০০ ভাগ ইলেকট্রিক এয়ারপ্লেন। প্লেনটি ইস্ট হ্যাম্পটন থেকে যাত্রী নিয়ে কেনেডি বিমানবন্দর পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে মাত্র ৩৫ মিনিট সময় নেয়, পাড়ি দেয় ৭০ নটিক্যাল মাইল আকাশপথ। নিউইয়র্ক বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নিউইয়র্ক এলাকার জন্য এটি এ ধরনের বিমানযাত্রার প্রথম ঘটনা।’

আর এই ঘটনা এই বার্তাই দিচ্ছে যে, ইলেকট্রিক প্লেনে করে ঘুরে বেড়ানো এখন সম্ভব এবং এটি সত্য ঘটনা।

এই ফ্লাইটটি শুধুমাত্র নতুন ঘটনা তাই নয়, পাশাপাশি তা ভবিষ্যতের বিমান পরিবহনে নতুন বার্তা দিচ্ছে। এ ধরনের ইলেকট্রিক এয়ারক্রাফ্ট শব্দ কম করে, যার অর্থ বিমানবন্দরের কাছের মানুষ তাদের জীবনযাত্রায় স্বস্তি পাবে। এ ছাড়া এগুলোর পরিচালন ব্যয়ও অপেক্ষাকৃত কম।

এ প্রসঙ্গে কাইল ক্লার্ক বলেন, ‘চার্জ দিয়ে ইস্ট হ্যাম্পটন থেকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে আসতে আমাদের মাত্র আট ডলারের জ্বালানি খরচ হয়েছে। তবে, অবশ্যই আপনাকে পাইলট ও প্লেনের জন্য খরচ করতে হবে। কিন্তু আসল কথা হলো এটা অনেক কম খরচের পরিবহণ।’

প্লেনটি চলার সময় যাত্রীরা পুরোটা সময় পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন আর এজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে কম শব্দের ইঞ্জিন ও প্রপেলারগুলোকে। এ ধরনের আরাম-আয়েশ ও সহজলভ্যতা ইলেকট্রিক প্লেনকে এর যাত্রী ও ভ্রমণকারীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। যারা বিমানে করে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে চান তাদের জন্য ইলেকট্রিক প্লেন একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

পরিবহণ কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত এয়ারক্রাফ্টগুলোকে কাছের গন্তব্যের বিমানযাত্রার জন্য ব্যবহারের কথা মাথায় রাখছেন, বিশেষ করে যেগুলো আড়াআড়িভাবে আকাশে উঠতে ও নামতে পারে। এই ধারণা ভ্রমণকারীদের যানজট এড়িয়ে নীরবে আরামদায়ক বিমানযাত্রায় উৎসাহিত করবে।

ইলেকট্রিক প্লেনের এই ধারণায় সবসময় এগিয়ে ছিল বেটা টেকনোলজিস। যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট শহর ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তন হয় ২০১৭ সালে। সম্প্রতি এই কোম্পানিটি তাদের তহবিলে ৩১৮ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে ইলেকট্রিক প্লেনের উৎপাদন, নিবন্ধন, বাণিজ্যিকীকরণের জন্য। সব মিলিয়ে তাদের তহবিল গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিলিয়ন ডলারে। তবে শুধু ইলেকট্রিক প্লেন তৈরি করেই বসে নেই বেটা টেকনোলজিস, পাশাপাশি তারা এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও ইলেকট্রিক ফ্লাইটের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও কাজ করে যাচ্ছে।