দেশের আকাশে বিমান চলাচল বাড়লেও সংকটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে ইমারজেন্সি সেবা কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিমানবন্দর কেন্দ্র করে যেকোনো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দায়িত্ব থাকলেও সক্ষমতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দ্যা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব বিষয়ে কথা বলেন। তাদের মতে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা রয়েছে সরকারি দফতরগুলোর।
দেশের আকাশ পথসহ অন্য যে কোনো জাতীয় দুর্যোগে কোন সংস্থা আগে বা পরে বা কীভাবে কাজ করবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন নেই রাষ্ট্রীয়ভাবে। যা অনেক সময়ই জটিলতা তৈরি করে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমে। সম্প্রতি ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনার পর একই চিত্র পেয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার এভিয়েশন খাতের ঝুঁকি ও মোকাবিলায় প্রস্তুতি বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করে দ্যা বাংলাদেশ মনিটর। এতে বক্তারা বলেন, নগরকে নিরাপদ করতে প্রয়োজন আইনের বাস্তবায়ন। জরুরিভাবে গঠন করতে হবে জাতীয় দুর্যোগ সেবা কাঠামো।
সেমিনারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দুর্যোগে সর্বাত্মক সেবা দেয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি বিমান দুর্ঘটনায় অপারেশনে অনেক দুর্বলতার তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তার তাগিদেই শাহজালাল বিমানবন্দরের বিকল্প অবকাঠামোতে এখনই পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।