News update
  • Tk 3.38cr Project to Restore Sonadia’s Biodiversity     |     
  • Global Emissions Fall Slowly, Experts Urge Renewables Push     |     
  • Hurricane Melissa: UN Appeals $74M to Aid 2.2M in Cuba     |     
  • Doha Summit Stresses Urgent Investment in People and Peace     |     
  • Sand syndicates tighten grip on Bangladesh's northern region     |     

পাসপোর্ট নিয়ে ইতালি গেল মুন্সীগঞ্জের বিড়াল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-11-06, 2:15pm

ewrwrweqwe-9c5f837d7258bf9ac0adcf1a9f4b5c2a1762416949.jpg




মুন্সীগঞ্জ থেকে পার্সপোর্ট নিয়ে ইতালিতে গিয়েছে পোষা বিড়াল ‘ক্যান্ডি’। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত সোয়া ৩টায় কাতার এয়ারলাইন্সে বিড়ালটি ইতালির উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে।

জানা গেছে, চার বছর ধরে পরিবারের সদস্যের মতো লালন করা বিড়ালটিকে সঙ্গে নিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। বিশেষ খাঁচা, বিমানের টিকিট, সরকারি অনুমতি, পাসপোর্ট, এমনকি ট্রানজিট বিমানবন্দরের অনুমতিও নিতে হয়েছে আলাদা করে। ডমেস্টিক মিক্সড জাতের ক্যান্ডির ওজন প্রায় ৬ কেজি। নিয়ম অনুযায়ী বিমানে হাতব্যাগের মতোই একটি ছোট্ট বক্সে করে বিড়ালটিকে নেওয়া হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ শহরের মানিকপুরের রিক্তা বেগম ২০২১ সাল থেকে ক্যান্ডিকে লালন-পালন করছেন। অনলাইনে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা এই বিড়াল ছানাটি তার পরিবারের একজন সদস্যের মতো।

জানা গেছে, আব্দুল হাই রিক্তা দম্পত্তির ছেলে শিথিল যখন স্কুলে পড়তো তখন বিড়ালটি কেনা হয়েছিল। শিথিল এখন এইচএসসি পাস করেছেন। রিক্তার স্বামী আব্দুল হাইয়ের কর্মস্থল ইতালির রোমে। সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন পরিবারের সবাই। তাই প্রিয় ক্যান্ডিকে ফেলে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি তাদের।

রিক্তা বেগম ইতালি  যাওয়ার পূর্বে বলেন, আমরা যেভাবে ক্যান্ডিকে লালন করেছি, ও এখন আমাদের পরিবারের মতোই। আমরা বাইরে গেলে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই ওকে ছাড়া যাওয়া আমাদের জন্য অসম্ভব।

দেশ ছাড়ার আগে রিক্তার ছেলে স্বপ্নীল হাসান শিথিলও বেশ আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, ক্যান্ডি আমাদের পরিবারের আনন্দের উৎস। ও ছাড়া ঘরটা ফাঁকা মনে হয়। তাই ওকে সঙ্গেই নিচ্ছি।

রিক্তার স্বামী আব্দুল হাই কয়েক মাস আগে ছুটি কাটাতে দেশে এসে ক্যান্ডির মায়ায় মুগ্ধ হন। পরিবারের আবেগের কথা ভেবে তিনিও বিড়ালটিকে সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেন।

সব নিয়ম মেনে প্রাণীটিকে বিমানে বহনের জন্য বিশেষ খাঁচায় নেওয়া হয়েছে। বিমানভাড়া ৩৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সঙ্গে পোষা প্রাণীর পাসপোর্ট, সরকারি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)’ এবং ট্রানজিট বিমানবন্দরের ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মোট খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ টিটলার্ক পেটওয়েল সেন্টারের ভেটেরিনারি কনসালট্যান্ট  অ্যান্ড সার্জন ডা. শিবেন চন্দ্র লিটন বলেন, বিদেশে প্রাণী নেয়ার প্রক্রিয়ায় টিকা, স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট, মাইক্রোচিপ স্থাপন—সব কিছু আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হয়। ক্যান্ডির দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে একটি মাইক্রোচিপ বসানো হয়েছে, যাতে স্ক্যান করলেই তার ইউনিক নম্বর দেখা যায়।’

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মুন্সীগঞ্জ থেকে এবারই প্রথম কোনো পোষা বিড়াল বিদেশে যাচ্ছে। এটি প্রাণীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও মমত্ববোধের এক বিশেষ উদাহরণ।’আরটিভি