News update
  • SACEP propels South Asia's fight against plastic pollution     |     
  • UN chief urges world leaders to save two-State solution     |     
  • Customers thronge Feni cattle markets ahead of Eid     |     
  • Over 1.5 million foreign pilgrims are in Saudi Arabia for Hajj     |     

নিরাপত্তার চাদরে বিজিএমইএ নির্বাচন আজ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-05-31, 6:46am

bijiemie_logo_1-0607678afacabcf077a018cbccaa3b241748652402.jpg




পরিস্থিতি ভিন্ন বিধায় এবার বিশেষ নিরাপত্তায় তৈরি পোষাক শিল্পের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৫-২০২৭ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হচ্ছে। আজ শনিবার (৩১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকার র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন এবং চট্টগ্রামের র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে একযোগে ভোট গ্রহণ চলবে।

গত বছরের মার্চে বিজিএমইএর নির্বাচন হয়েছিল। তাতে সভাপতি পদে জয়ী হন এস এম মান্নান। এরপর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। এতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে সংগঠনটি। একপর্যায়ে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামকে বিজিএমইএর সভাপতি করা হয়। এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। নানা অনিয়মের অভিযোগে সরকার সেই পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় গত ২০ অক্টোবর। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ হয়। সেই প্রশাসকের মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম শেষে আয়োজন হয়েছে নির্বাচনের। এতে বাদ দেওয়া হয়েছে ভুয়া ভোটার, বিজিএমইএকে করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত।

এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসকের অধীনে বিজিএমইএর নির্বাচন হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এসব মাথায় রেখে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের সতর্কতা। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সবকিছু বিবেচনায় একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনে এবার হচ্ছে না নির্বাচন। ঢাকার র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল এবং চট্টগ্রামের র‍্যাডিসন ব্লু হোটেল বে ভিউতে নির্বাচন হচ্ছে। একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এবারে ভোটের মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমন আশা ভোটারদের। প্রার্থীদের প্রত্যাশা প্রশাসক সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন বোর্ড। নির্বাচনে বিজিএমইএর কর্মকর্তাদের যুক্ত করা হয়নি। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এই নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনে জয়ী হলে বিজিএমইএর সদস্যদের স্বার্থরক্ষা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শ্রমিক অধিকার, বিশ্ববাজার প্রসারসহ পোশাক শিল্পের নানা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাচনের প্রার্থীরা। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানসহ পোশাক খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার মতোও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

এই নির্বাচনে ফোরাম, সম্মিলিত পরিষদ ও ঐক্য পরিষদ নামে তিনটি প্যানেলের অধীনে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ ঢাকায় ২৬টি, চট্টগ্রামে ৯টিসহ ৩৫ পদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। ঐক্য পরিষদ ছয়জন প্রার্থী দিয়ে প্যানেল ঘোষণা করেছে। নির্বাচনি ইশতেহারে ১২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। প্যানেলটির লিডার মো. আবুল কালাম। অন্যদিক ১৪ দফা ইশতেহার দিয়েছে ফোরাম। প্যানেলটির লিডার মাহমুদ হাসান খান। এছাড়া ১৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে ঐক্য পরিষদ। প্যানেলটির লিডার মোহাম্মদ মহসিন।

বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৭ মেয়াদের বিজিএমইএ নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদে লড়ছেন ৭৬ জন প্রার্থী। বিজিএমইএ নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল। তিনি বলেন, এবারে শুধু সচল কারখানার উদ্যোক্তারাই ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেই হিসেবে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৫। এর মধ্যে ঢাকা ভোটার ১ হাজার ৫৬১ জন। চট্টগ্রামে ভোটার ৩০৩ জন। তবে গত বছর ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৪৯৬ জন।

সম্মিলিত পরিষদের ঢাকার প্রার্থী হয়েছেন– মো. আবুল কালাম, ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, আসিফ আশরাফ, মো. মশিউল আজম সজল, মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, মো. আশিকুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, সৈয়দ সাদিক আহমেদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত,  মো. শাহদাৎ হোসেন, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, রেজাউল আলম মিরু, আবরার হোসেন সায়েম, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, তামান্না ফারুক থিমা, মির্জা ফায়েজ হোসেন, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লিথি মুনতাহা মহিউদ্দিন, এ কে এম আজিমুল হাই,  মাঞ্জুরুল ফয়সাল হক, এস এম মনিরুজ্জামান ‍ও মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান।

সম্মিলিত পরিষদের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– এস এম আবু তৈয়ব, রাকিবুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা, অঞ্জন কুমার দাশ, নাফিদ নবি, সৈয়দ মোহাম্মেদ তানভীর, মোস্তফা সারোয়ার রিয়াদ, মো. আবসার হোসেন ও গাজী মো. শহীদ উল্লাহ।

ফোরামের ঢাকার প্রার্থী হয়েছেন– মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, কাজী মিজানুর রহমান, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ইনামুল হক খান, মো. হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, ভিদিয়া অমৃত খান, মোহাম্মদ আব্দুল রহিম, শাহ রাঈদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, এ বি এম শামছুদ্দিন, নাফিস উদ দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মজুমদার আরিফুর রহমান, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, ফাহিমা আক্তার, আসেফ কামাল পাশা, ড. রশীদ আহমেদ হোসাইনী, রুমানা রশীদ, সামিহা আজিম, রেজোয়ান সেলিম ও ফয়সাল সামাদ।

ফোরামের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– সেলিম রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মানসুর, মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী ও রিয়াজ ওয়াইজ।

ঐক্য পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন–  মোহাম্মদ মহসিন, দেলোয়ার হোসাইন, খালেদ এমডি ফয়সাল ইকবাল, এ কে এম আবু রায়হান, এমডি মহসিন অপু ও শেখ এরশাদ উদ্দিন। এনটিভি।