News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

বিতর্কের মুখে পোশাক পরিধানের সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ ব্যাংক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-07-24, 3:04pm

bank-bd5af1f610a12434c9128e4a399cef8a1753347890.jpg




বিতর্কের মুখে কর্মীদের পোশাক পরিধানের সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।    

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আরিফ হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগীয় সভায় সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে শালীন পোশাক পরিধানের বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ দেওয়া হলেও তা ছিল শুধু প্রস্তাবনা পর্যায়ে। বিষয়টি কোনোভাবেই বাধ্যতামূলক নির্দেশনা কিংবা নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল না।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এবং তা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নজরে এলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার নির্দেশে এই অভ্যন্তরীণ আলোচনা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পুরো বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা থাকলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কুলার আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পোশাকের ধরন নিয়ে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় নারী কর্মীদেরকে শর্ট স্লিভ ও লেংথের (ছোট হাতা ও দৈর্ঘ্যের) পোশাক ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়। তাদেরকে শাড়ি, সালোয়ার, কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরতে বলা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা পরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে যারা হিজাব পরেন, তাদেরকে সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়।

পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেছিলেন, কর্মক্ষেত্রে অনেকেই অনেক দামি ও গর্জিয়াস পোশাক পরেন। আবার অনেকেই কম দামি ও সাদামাটা পোশাক পরেন। এতে কর্মক্ষেত্রে এক ধরনের বৈষম্যের পথ তৈরি হয়। এটাকে নিয়ন্ত্রণে সবাই এক ধরনের পোশাক পরবে, সেই লক্ষ্য থেকেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওইদিন মুখপাত্র আরও বলেন, পোশাক নিয়ে যেন সাম্য ও ঐক্য থাকে, কোনো ধরনের মানসিক বৈষম্য না থাকে। আর শালীন পোশাক যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নারী-পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক।

হিজাব পরতে বাধ্য করা হচ্ছে না জানিয়ে আরিফ হোসেন খান বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়। তবে যারা হিজাব পড়বেন, তাদেরকে সাদামাটা রঙের হিজাব পরতে হবে। এই নির্দেশনা শুধু অফিসের জন্য প্রযোজ্য। কেউ ব্যক্তিগত পরিসরে যেকোনো পোশাক পরতে পারবেন।