News update
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     

কেউই 'অন্যায্য বাণিজ্য ভারসাম্য' থেকে রেহাই পাবে না, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-04-14, 8:42pm

rtreterte-e8fce61c1b7dd5e9e13958c07d250fb71744641741.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, অন্যায্য বাণিজ্য ভারসাম্যের কারণে কেউই রেহাই পাবে না এবং একই সাথে তিনি আরও শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এর আগে অবশ্য শুক্রবার হোয়াইট হাউজ চীন থেকে স্মার্ট ফোন ও কম্পিউটার আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সোশ্যাল ট্রুথে এক পোস্টে এটিকে সাময়িক পদক্ষেপ এবং একইসাথে নতুন করে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ওদিকে চীনা কর্মকর্তারা শুল্ক সম্পূর্ণ বাতিলের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তারা 'ভুল সংশোধনে বড় পদক্ষেপ' নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তিনটি বড় 'উৎপাদক দেশ' ভিয়েতনাম সফরে গেছেন এবং তিনি আরও আঞ্চলিক সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন।

ভিয়েতনামের একটি সংবাদপত্রে একটি লেখায় শি জিনপিং চীন ও ভিয়েতনামকে বন্ধুভাবাপন্ন সমাজতান্ত্রিক প্রতিবেশী হিসেবে আখ্যায়িত করেন যারা একই আদর্শ এবং কৌশলগত স্বার্থের অংশীদার।

তিনি তার আগের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, বাণিজ্য যুদ্ধ ও শুল্ক যুদ্ধ কাউকে জয়ী করবে না এবং সুরক্ষাবাদ দিয়ে কোথাও পৌঁছানো যাবে না। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।

প্রযুক্তি শুল্ক প্রত্যাহারের পর চীনা বাজার

প্রযুক্তি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রত্যাহারের পর চীন ও হংকংয়ে শেয়ারের দাম বেড়েছে।

এর বাইরে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্য জায়গা বিশেষ করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতেও সোমবার সকাল নাগাদ আর্থিক বাজারগুলোয় দাম বৃদ্ধি হতে দেখা গেছে।

ওদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য অংশীদারদের সাথ সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছেন।

একই সাথে বৈশ্বিক বাণিজ্যে চীনা সস্তা পণ্য সয়লাব হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে যে উদ্বেগ তা নিয়েও আঞ্চলিক নেতাদের তিনি আশ্বস্ত করবেন।

সিঙ্গাপুরে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব

চীন- যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব সামাল দিতে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা নীতি আবারো কিছুটা সহজীকরণ করেছে।

দেশটির আর্থিক কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, রপ্তানি নির্ভর দেশের ওপর শুল্ক প্রয়োগ হচ্ছে তারা তাদের পণ্যের দাম কমানোর জন্য চাপের মুখে পড়বে।

বাণিজ্য যুদ্ধ সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির জন্য স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ দেশটি নৌপরিবহনের বড় কেন্দ্র এবং এর অবস্থান চীন ও পশ্চিমের মধ্যে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, যা তার আগের তিন মাসে ছিলো ৫ শতাংশের মতো।

ট্রাম্প লক্ষ্য অর্জন করেছেন?

ট্রাম্প এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের সমালোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউজ এখন বলেছে, বিশ্ব নেতারা আলোচনার জন্য ইতোমধ্যেই একমত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের আগে দেশটির অনেক বাণিজ্য অংশীদার সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য ৯০ দিনের সময় পেয়েছে।

শুল্ক আরোপের পদক্ষেপের কারণে ব্যবসায়ীদের জন্য অনুমান করা কঠিন হয়েছে যে শুল্ক চূড়ান্তভাবে কোন পর্যায়ে পৌঁছায় এবং কোন ধরনের শিল্প বড় সুরক্ষা পায়।

ব্যবসায়ীরা বড় কোন অঙ্গীকারের আগে এখন অপেক্ষা করবেন কিভাবে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হয় সেটি দেখতে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি তার আরোপিত শুল্কে অনড় থাকেন এবং একই সাথে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হলে তিনি আরও শুল্ক আয় করবেন।

তিনি অবশ্য বলেছেন, তার বাণিজ্য নীতি ক্রেতাদের কম মূল্যে পণ্য পেতে সহায়তা করবেন। যদিও এ দাম আরও অনেক বেড়ে যেতে পারে বলে অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন।

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়ই এপ্রিল থেকে চীনা পণ্য আমদানির উপর ১০০ শতাংশরও বেশি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর জবাবে সব ধরনের মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়।

এই দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে গত বছর, সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮৫ বিলিয়ন ডলার (৫৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য বাণিজ্য হয়েছে।

চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে তার তুলনায়, চীন থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের বাণিজ্য পণ্য। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন আমদানি করেছে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য।

ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৪৩ শতাংশই দখল করে রয়েছে দুই দেশ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।