News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

সদ্য পাশ হওয়া বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘবের কোন বার্তা নেই

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক

রাজনীতি 2024-07-01, 12:07am

saiful-huq-gs-biplabi-workers-party-406b79aa493653d1ceae683d7b514e411719770868.jpg

Saiful Huq GS Biplabi Workers Party



বাজেটের অর্থ বিলে বিত্তবানদের করছাড় ও কালোটাকা সাদা করার বিধান দূর্নীতিবাজদের মদদ যোগাবে; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেবে।

বাজেটে রাজস্বখাতসহ অনুৎপাদনশীল খাতের বরাদ্দ কমেনি, মৌলিক খাতে বরাদ্দ বাড়েনি।বাজেট সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও আরও ঋণগ্রস্ত করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ৩০ জুন গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে নতুন অর্থ বছরের অর্থ বিলে বিত্তবানদের ছাড় ও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন সরকারের এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দূর্নীতি ও দূর্বৃত্তায়নকে নতুন করে মদদ যোগাবে। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশের বেশী কর দিলে করনথি নিরীক্ষা না করার বিধান  আর্থিক অনিয়ম ও লুটপাটের আরও প্রসার ঘঠাবে। 

প্রধান একদিকে যখন দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বলছেন অন্যদিকে অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ হালাল করার বিধান দূর্বৃত্ত মাফিয়াদেরকে আরও উৎসাহ প্রদান করবে; তাদেরকে আরও বেপরোয়া হতে সাহায্য করবে।

তিনি সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশের প্রস্তাব থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে সরকারের পশ্চাদাপসরণ হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন ধনীদের এই করছাড় সমাজে ধনীদের বাড়তি সুবিধা দেবে।

তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন,  জনগণের বিভিন্ন অংশের দাবি অনুযায়ী রাজস্বব্যয়সহ অনুৎপাদন খাতের বরাদ্দ কাটছাট করা হয়নি। শিল্প, কৃষি, শিক্ষা,

স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের মত মৌলিক খাতগুলোতে বরাদ্দ বাড়েনি।উল্টো  মুটোফোন ও ইন্টারনেটের মত অতি আবশ্যকীয় সেবার উপর কর আরোপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আর্থিক খাতে সীমাহীন অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা, চুরি,দূর্নীতি অর্থপাচার রোধে বাজেটে কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নেই।

তিনি উল্লেখ করেন, বাজেটের ছাটাই প্রস্তাবের সময় জনগণের কোন  মতামতকেই বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

সর্বোপরি  আগামীকাল ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া বাজেট দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়তে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য  স্বস্তির কোন বার্তা  দিতে পারেনি।এই বাজেট সরকারকে যেমন আরও ঋণগ্রস্ত করবে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও আরও ঋণগ্রস্ত করবে, অনিশ্চয়তায় ঘেরা জীবনকে আরও বিপদে নিক্ষেপ করবে।সে কারণে এই  বাজেট গ্রহণযোগ্য হবেনা। - প্রেসবিজ্ঞপ্তি