বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, শহীদ জিয়ার আমলে ‘পল্লী চিকিৎসা’ নামে একটা চিকিৎসা সেবা চালু ছিল। গ্রামে গ্রামে ঘুরে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। ওইরকম একটা ধারণা নিয়ে আমরা যেতে চাচ্ছি। নাম কি দেব, এটা পরের ব্যাপার। পল্লী চিকিৎসা দিতে পারি অথবা হেল্থ কেয়ার দিতে পারি। এর আওতায় যারা কাজ করবে তারা ঘরে ঘরে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, মানুষগুলো ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবে— কোন খাবার কিভাবে খেলে হার্টের অসুখ হবে না। কোন খাবার কিভাবে খেলে ডায়াবেটিস হবে না। বাসন-কোসন কিভাবে রাখলে ডায়রিয়া হবে না। এই বেসিক বিষয়গুলো তারা সচেতন করবে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা একটা ধারণা দেবে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে— কম সংখ্যক মানুষ যাতে অসুস্থ হয়। মানুষ তো বাড়ছে, বাজেট কত বাড়াবেন?
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর, সৈয়দপুর ও নীলফামারী জেলায় এর আয়োজনে করে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি।
এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছি। ২০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা কিভাবে দেবেন? হিউজ বাজেটের ব্যাপার। আমেরিকাকে ধনী দেশ হিসেবে জানি। তাদেরও স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের হেল্থ ইন্স্যুরেন্স আছে। তারা ট্যাক্স থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটা অংশ কেটে রেখে দেয়। আমাদের দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ সেলফ-এমপ্লয়েড। আমাদের দেশে এটা কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলো একটা জিনিস শুরু করেছে— মানুষদের আগেই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করছে। কম সংখ্যক মানুষ যেন অসুস্থ হয়, তারা সেদিকে নজর দিচ্ছে।