News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

মানবিক করিডোরের অন্তরালে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চক্রান্ত হচ্ছে

রাষ্ট্র সংস্কার করেই পিআর পদ্ধতিতে প্রথমে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে - আইএবি

রাজনীতি 2025-05-04, 11:32pm

moulana-ahmed-abdul-qayuum-assistant-secretary-general-of-iab-addressing-a-programme-of-the-party-at-brahmanbaria-on-sunday-3ac9268922a40dd2331fb0c156a9a5b61746379979.jpg

Moulana Ahmed Abdul Qayuum, assistant secretary general of IAB addressing a programme of the Party at Brahmanbaria on Sunday.



ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু জনসমস্যার সমাধান হয়নি, মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। কাজেই যেনতেন নির্বাচন হলেই সমস্যার সমাধান হবে না। এ জন্য একটি কার্যকরী সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার করেই পিআর পদ্ধতিতে আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ হবে না।

তিনি আরো বলেন, এখনো সারাদেশে চাঁদাবাজি ও হত্যাকান্ডের ঘটছে। খুন-ধর্ষণ, অপহরণের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার এখনই সময়। খুনি, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও লুটেরাদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে না পারলে বিগত সময়ের রাজনীতি ফের চালু হবে।

শনিবার (৩ মে) কাউতলীস্থ স্বপ্নতরী কনভেনশন হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে দায়িত্বশীল তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মানছুর আহমদ সাকী।

সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, দীনি সংগঠনের ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপদেষ্টা আলহাজ্ব মুসলেহ উদ্দিন ভুইয়া, মুফতি জসিম উদ্দিন প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মদ শাহ আলম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান হিফয্, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহসিনুল করীম হারুনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আশরাফুল ইসলাম বিলাল, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এম আবু হানিফ নোমান, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল আলম।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, রাখাইন রাজ্য নিয়ে আমাদের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশে ১৪-১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট মানবিক পরিস্থিতির প্রতি আমরা সংবেদনশীল। তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বশস্ত্র যুদ্ধ ও জাতিগত হানাহানিতে বিপর্যস্ত এই রাজ্যের জন্য “মানবিক করিডোর” প্রতিষ্ঠার বিষয়টি কেবলই মানবিক না বরং এর সাথে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত হয়ে পড়েছে। তাই বিস্তর বোঝাপড়া এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই ধরণের সিদ্ধান্ত  কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। করিডোরের অন্তরালে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।

উক্ত দায়িত্বশীল তারবিয়াতে জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।