News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

এমপিওভুক্তির দাবিতে যমুনার দিকে যাত্রা, জলকামান-লাঠিচার্জে আহত ৫ শিক্ষক 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2025-03-12, 3:52pm

4r4423-cfa6e8d0a9122de9a3c20795fb5db18c1741773179.jpg




তৃতীয় ধাপে এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। বেসরকারি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষুব্ধ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দীর্ঘদিনেও দাবি আদায়ের বিষয়ে ন্যূনতম আশ্বাস না পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু, আগে থেকেই কদম ফোয়ারা মোড়ে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মিছিলটি কদম ফোয়ারা কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, এতজনকে একসঙ্গে নিয়ে বাসভবনের সামনে যাওয়া সুযোগ নেই। চাইলে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু, এ প্রস্তাবে রাজি হননি তারা।

পরে বাধা উপেক্ষা করে তারা সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। তাতেও ফেরানো যায়নি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।

এর আগে, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সারা বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান করছি। ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সমযোগ্যতা থাকার পরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য ৪ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। একইসঙ্গে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়।

তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে ১৮ দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিন, ২০২৪ সালে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের জন্য ইস্যু করা হয়। এই চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।আরটিভি