
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। কেউ আইনজীবী, আবার কেউ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেন। এতদিন এ কাজে কোনো আইনি বাধা ছিল না।
তবে নতুন এমপিও নীতিমালায় শিক্ষকদের ‘আর্থিক লাভজনক’ কোনো পেশায় জড়িত থাকা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর্থিক লাভজনক কয়েকটি পেশার নাম উল্লেখও করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে— সাংবাদিকতা, আইন পেশা, বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এ নীতিমালার ১১ নম্বর ধারার ১৭ উপধারার ‘ক’ ও ‘খ’ বিধিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
নীতিমালার ১১.১৭-এর ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক কোনো পদে/চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
‘খ’ বিধিতে ‘আর্থিক লাভজনক’ পদ বলতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো ধরনের বেতন/ভাতা/সম্মানী এবং বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান/সংস্থায়/বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান/সাংবাদিকতা/আইন পেশায় কর্মের বিনিময়ে বেতন/ভাতা/সম্মানীকে বোঝাবে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা অন্য আর্থিক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন না। এখন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি অর্থ পান। তাদের বেতন ও ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হয়েছে। ঈদ বোনাস অন্যান্য ভাতাও সরকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এজন্য এমপিও নীতিমালায় তাদের আর্থিক লাভজনক যে কোনো পেশায় না জড়ানোর জন্য নির্দেশনা রয়েছে। কেউ নীতিমালা লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।