News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

ভয়েস কলের দাম কমানোর দাবি গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2024-12-13, 5:23pm

img_20241213_172138-cac477566cd472b64755d150fa982a411734089000.jpg




ভয়েস কলের ফ্লোর প্রাইস (ন্যূনতম কলরেট) থাকায় সেবামূল্যে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না মোবাইল সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে গ্রাহকরা কম মূল্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার এ ফ্লোর প্রাইস পলিসি আরোপ করেছিল। এজন্য বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়াসহ কল ড্রপ (ফোন কল নেওয়ার পরে বা কথোপকথনের যে কোনো সময়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া) শূন্য শতাংশ নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এমন দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যখন ভয়েস কলের ফ্লোর প্রাইস ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ পয়সা করা হয়েছিল তখনই আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু বিটিআরসি এমনকি সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমানে কোনো কোনো অপারেটর মিনিটে ২ টাকা ও সঙ্গে ভ্যাট সার্ভিস যুক্ত করে কল রেট আদায় করছেন। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে উন্নত দেশ সমূহে ভয়েস কল যেখানে ফ্রি সেখানে বাংলাদেশে ফ্লোর প্রাইস ৪৫ পয়সা এবং ২ টাকা আদায় করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণভাবেই বৈষম্য তৈরি করছে।

সাশ্রয়ী কলরেট নিশ্চিত করতে বেশকিছু পরামর্শ দিতে গিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস (ন্যূনতম কলরেট) অনেক গ্রাহকের কাছে ব্যয়বহুল। সেজন্য ফ্লোর প্রাইস কমিয়ে বা তুলে নিয়ে সবার জন্য সহজলভ্য কলরেট নির্ধারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করতে ফ্লোর প্রাইসের সীমাও কমানো প্রয়োজন। গ্রামীণ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করা যেতে পারে। আবার প্রতি সেকেন্ড ভিত্তিক চার্জিং সিস্টেম আরও ব্যাপকভাবে কার্যকর করা প্রয়োজন৷ এতে করে গ্রাহকরা তাদের ব্যবহার অনুযায়ী ন্যায্য বিল দিতে পারবেন।

হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কলড্রপ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টে কল ড্রপ বন্ধ করা, ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও নতুন করে কল রেট না বাড়ানোর জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। পরে কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং কল ড্রপ বন্ধ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন। যদিও বিটিআরসির গাইডলাইন অনুযায়ী ২ শতাংশ কল ড্রপ হতে পারে। তবে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিটিআরসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে নীতিমালা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি।

বিশেষ করে গ্রাহকের ক্ষতিপূরণ, নেটওয়ার্কের উন্নয়ন, কল ড্রপের সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন, ফেয়ার বিলিং সিস্টেম, ট্যাক্স, গ্রাহকসেবার উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করা এবং বিটিআরসির মনিটরিং বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন মহিউদ্দিন আহমেদ। আরটিভি