News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আহ্বান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-03-14, 7:22am

img_20250314_071951-75d05cac5650cf28fb9fae244861722d1741915329.jpg




চারদিনের সফরে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের মাসিক খাবারের বরাদ্দ অর্ধেক কমানোর পরিকল্পনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।  

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, বরাদ্দ অর্ধেক কমলে রোহিঙ্গাদের ওপর এর প্রভাব হবে ভয়াবহ। এই পরিস্থিতি এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।

এর আগে, জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ৫ মার্চ লিখিতভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবারের বরাদ্দ অর্ধেকের বেশি কমানোর পরিকল্পনার কথা বাংলাদেশকে জানায়। সংস্থাটি জানায়, জরুরি নতুন তহবিল পাওয়া না গেলে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাবারের বরাদ্দ আগামী এপ্রিল থেকে সাড়ে ১২ ডলার থেকে ৬ ডলারে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করেন। এপ্রিল থেকে তাদের জন্য ডব্লিউএফপির মাসিক বরাদ্দ ব্যাপক হারে কমতে পারে। এটা তাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। বিষয়টি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা কীভাবে দেখছেন, তা নিয়ে সম্প্রতি কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছে তারা।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, প্রায় ৯৫ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ডব্লিউএফপি তাদের মাসিক খাবারের বরাদ্দ অর্ধেক করার পরিকল্পনা করছে। এমন সময়ে এই ঘোষণা এল, যখন তহবিল স্বল্পতায় রোহিঙ্গাদের জীবনে টানাপোড়েন চলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বরাদ্দ কমলে তাদের জীবন ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, দাতাদের পক্ষ থেকে সার্বিক তহবিল বরাদ্দ কমায় রোহিঙ্গাদের মাসিক খাবারের বরাদ্দ কাটছাঁট করার পরিকল্পনা করতে হচ্ছে তাদের। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) অর্থ অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন তা সরাসরি যুক্ত নয়।

এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিং বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও পরিষেবায় এরই মধ্যে যে ভয়াবহ স্বল্পতা চলছে, তহবিল ঘাটতি সেই সংকটে আরও বাড়িয়ে তুলবে। শরণার্থীদের মধ্যে যারা বৈষম্যের শিকার ও যারা আরও প্রান্তিক হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন, তারা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বেন। বিশেষ করে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। 

স্মৃতি সিং আরও বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ডব্লিউএফপির (সহায়তার) ওপর নির্ভর করা ছাড়া তেমন কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকার তাদের চাকরি করার বিষয়টি কঠোরভাবে সীমিত করে রেখেছে। আশ্রয়শিবিরের বাইরে তারা চলাচলও করতে পারেন না।  আরটিভি