News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

সরকারের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার, চালু থাকছে ডিম-মুরগির খামার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-04-21, 8:26pm

rrtwrtt-479245553a13547e7f1cd1ef710d6d711745245593.jpg




সরকারের আশ্বাসে ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। ফলে ১ মে থেকে দেশের ডিম ও মুরগির খামারগুলো বন্ধ হচ্ছে না।

সরকারের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার, চালু থাকছে ডিম-মুরগির খামার

সোমবার (২১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকার আন্তরিকতা দেখিয়েছে। ফলে খামার বন্ধের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন জেলার ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক খামারির সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে, সরকার পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

বৈঠকে ১০ দফা দাবি পেশ করে অ্যাসোসিয়েশন। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক তাৎক্ষণিকভাবে দাবি পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং জানান, এরইমধ্যে খাদ্যের মূল্য কেজিপ্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ফিড, বাচ্চা এবং ওষুধের দামে নিয়ন্ত্রণে আনতে তদন্ত চলমান রয়েছে। সরকার নির্ধারিত ডিম ও মাংসের ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নে বাজার নিয়ন্ত্রণেও নেয়া হচ্ছে উদ্যোগ।

বিপিএ জানায়, এই সংকটময় সময়ে সরকারের সহযোগিতা প্রান্তিক খামারিদের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। তাই দেশের স্বার্থে এবং জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে ১ মে থেকে খামার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—সরকারি নিয়মকানুন মেনে ট্রেড লাইসেন্স, নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে খামার পরিচালনা করতে। একই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠিত থেকে যৌক্তিকভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে।

দাবি আদায় না হলে ফের কর্মসূচি

যদিও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে, তবুও বিপিএ সাফ জানিয়ে দিয়েছে—আগামী দিনে যদি ১০ দফা যৌক্তিক দাবির বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হয়, তাহলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

বিপিএর দাবিগুলো হলো-

১) জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করতে হবে।

২) সরকারিভাবে ফিড মিল ও হ্যাচারি স্থাপন করতে হবে।

৩) কোম্পানির কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪) স্বাধীন বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে।

৫) ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসন করতে হবে।

৬) খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।

৭) জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।

৮) সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯) প্রশাসনিক অভিযান চালিয়ে ন্যায্য বাজার নিশ্চিত করতে হবে।

১০) জাতীয় বাজেটে প্রান্তিক খামারিদের বরাদ্দ ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।