News update
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     
  • Khulna’s ‘white gold’ shrimp eyes Tk 22,600cr export goal     |     

‘ভয়-ভীতি’ নিয়ে সাংবাদিকতা, গণমাধ্যমের পরিবতর্ন ঘটবে কবে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-05-03, 4:11pm

img_20250503_160928-9fa49fb56ebfd95105f4f90d9ebc47b01746267084.jpg




হামলা, মামলা ও জীবনের হুমকির সঙ্গে চাকরি হারানোর ভয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয় সংবাদকর্মীদের। তবে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

‘ভয়-ভীতি’ নিয়ে সাংবাদিকতা, গণমাধ্যমের পরিবতর্ন ঘটবে কবে?

কর্মসূচি থাকুক বা নাই থাকুক। সাংবাদিকরা শিকার হচ্ছেন হামলার। ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে সারা দেশে নিহত হন ছয়জন সংবাদকর্মী। আহত হন ১১৭ জন।

আর পুরো বছরে সাংবাদিক নির্যাতনের সংখ্যা মোট ৫৩১টি। যার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলারই শিকার হন ৭৬ জন। এছাড়া রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন, হত্যার হুমকি, সংবাদ প্রকাশের জন্য হামলা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হামলা, মামলাসহ নানা রকম হয়রানির ঘটনা।

২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ১০২ জন সাংবাদিক নানা কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৮ জনই পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হামলার শিকার হন।

তাই এখনও জীবনের ঝুঁকির সঙ্গে মামলা, চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনাও আতঙ্কিত করছে গণমাধ্যমকর্মীদের। এমনকি সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের মামলা আদালতে ঝুলে থাকে যুগের পর যুগ। বিচার পান না ভুক্তভোগীরা।

যদিও আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স ইউদাউট বর্ডারের ২০২৫ সালের মুক্ত গণমাধ্যমের তালিকায় ১‌৬ ধাপ উন্নতি করলেও সাংবাদিকতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও ৩১তম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জেনোসাইডের মামলা। এটা একইসঙ্গে ভয়ংকর এবং হাস্যকর। গণমাধ্যমও যে পুরোপুরি বিশুদ্ধ সেটা আমি বলব না। রাষ্ট্র কাঠামো থেকে শুরু করে জন মানসিকতার পরিবর্তন না হলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অধরাই থেকে যাবে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য শামসুল হক জাহিদ জানান, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন আমরা প্রস্তাব করেছি এবং আইনের একটি খসড়াও তৈরি করে দিয়েছি। আমরা প্রেস কাউন্সিলের বদলে প্রেস কমিশনের কথা বলেছি। যারা সংবাদ খাতের পুরো জিনিসটা তারাই দেখভাল করবেন। সুরক্ষা ও কমিশন এই দুটি জিনিস সরকার বাস্তবায়ন করলে গণমাধ্যমের অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করবে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার ভূমিকা জরুরি বলেও মনে করেন কমিশনের সদস্যরা। সময়।