News update
  • Extra SIMs beyond 10 being deactivated from Saturday     |     
  • China's Xi promises to protect free trade at APEC as Trump snubs summit     |     
  • UN Probes Iran Crackdown, Alarms Over Spike in Executions     |     
  • UN Aid Push Continues Across Gaza Despite Airstrike Threats     |     
  • Hurricane Melissa displaces thousands across Caribbean     |     

সাজসজ্জার রঙে ‘বিষ’, মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-10-29, 7:01am

6ef28373cee558aab9ed98e57500757982ad85f65dc7a7ab-b7aa3a015e468cf099e2640507af15881761699690.jpg




দেশে ডেকোরেটিভ বা সাজসজ্জার কাজে ব্যবহৃত রঙে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৯০ হাজার পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) পর্যন্ত মারাত্মক বিপজ্জনক ভারী ধাতু সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় আইন অনুযায়ী রঙে সিসা ব্যবহারের সর্বোচ্চ নিরাপদ মাত্রা হলো মাত্র ৯০ পিপিএম।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এসডোর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (এসডো) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থাটি জানায়, দেশীয় ও বহুজাতিক বড় রঙের ব্র্যান্ডগুলো সিসামুক্ত রং উৎপাদনে অনেকটাই সফল হলেও, এই বিপজ্জনক মাত্রার রংগুলো উৎপাদন করছে মূলত ক্ষুদ্র, অনিবন্ধিত বা লেবেলবিহীন রঙের উৎপাদকরা, যারা বাজারের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দখল করে আছে।

‘রঙে সিসার উপস্থিতি ও সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অগ্রগতি মূল্যায়ন’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় লালমাটিয়ায় এসডোর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। গবেষণাটি লেড এক্সপোজার এলিমিনেশন প্রজেক্ট ও ইন্সটিগ্লিওর সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।

গবেষণায় মোট ১৬১টি নমুনার মধ্যে ৯৩টি (৫৭.৮ শতাংশ) নমুনায় সিসার নিরাপদ মাত্রা (৯০ পিপিএম-এর কম) পাওয়া গেছে। এই নমুনাগুলো ছিল শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল উভয় ব্র্যান্ডের রং।

তবে ৪২.২ শতাংশ (১৬১টির মধ্যে ৬৮টি) নমুনায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নির্ধারিত সিসার নিরাপদ মাত্রা ৯০ পিপিএম-এর বেশি পাওয়া যায়।

এর মধ্যে ২৬.২ শতাংশ নমুনায় ১,০০০ পিপিএম-এর বেশি সিসা ছিল। ৩.১ শতাংশ নমুনায় ৫০,০০০ পিপিএম-এরও বেশি সিসা পাওয়া গেছে।

এসডো উল্লেখ করেছে, মাত্রা অতিক্রমকারী এই ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত ক্ষুদ্র, স্থানীয় বা অনিবন্ধিত উৎপাদক, যাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি এবং পরীক্ষাগারের পরীক্ষার বাইরে থেকে যায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসডোর চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে সব ধরনের রং থেকে সিসা নির্মূল করার জন্য কর্তৃপক্ষ ও শিল্প খাতের অংশীদারদের কাছে অবিলম্বে পদক্ষেপ দাবি করেন। তিনি উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারে সম্মিলিত দায়বদ্ধতার পক্ষে কথা বলেন।

অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবির মিলন বলেন, আমদানি নীতিতে রং আমদানির ক্ষেত্রে ‘লেড ফ্রি’ শর্ত যুক্ত করতে হবে, যাতে একটি লাগাম টানা যায়। তিনি লেড ফ্রি রং উৎপাদনকারী ব্র্যান্ডগুলোকে সাধুবাদ জানান এবং তাদের সুরক্ষার জন্য শিল্প ক্ষেত্রে লেড ক্রোমেড পাউডার আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তার মতে, এর মাধ্যমে কেবল রং নয়, বরং খাদ্যসহ অনেক পণ্যকে এই মারাত্মক ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত করা সম্ভব হবে।