News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ছাড়াল ৫০ হাজার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-03-23, 10:04pm

ewrerewrweet-502bce144bf4e31f6262de628f3856831742745842.jpg




২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। উপত্যকাটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রোববার (২৩ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের আক্রমণ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা করে ১ হাজার ১৩৯ জনকে হত্যা এবং আনুমানিক ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর প্রতিশোধমূলক এই আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জানুয়ারিতে হামাসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ইসরায়েল গাজায় হামলা জোরদার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে।

মিসর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের জন্য ইসরায়েলকে গাজা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করতে হতো। এমনকি, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সময় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে এ সময় ইসরায়েল গাজায় ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলেন, ঘোষিত নিহতের সংখ্যা ‘অত্যন্ত ভয়াবহ, ভয়াবহ মাইলফলক’। তিনি বলেন, ৫০ হাজার নিহতের এই সংখ্যাটি কেবল সংরক্ষণ করা হিসাব। এই নিহতরা কেবল গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে নিবন্ধিত ছিলেন। আরও অনেক মানুষকে নিবন্ধন ছাড়াই কবর দেওয়া হয়েছে, কেউ আবার নিখোঁজ হয়েছেন অথবা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।

আলজাজিরার এই সাংবাদিক বলেন, ৫০ হাজারের বেশি নিহতের মধ্যে ১৭ হাজার শিশু। পুরো একটি প্রজন্ম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই শিশুরা তাদের সমাজের অগ্রগতিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ভূমিকা রাখত।

গাজার মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নিশ্চিত মৃত্যুর সংখ্যায় ১১ হাজারের বেশি নিখোঁজ ব্যক্তি উল্লেখ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মৃত্যু হয়েছে।

গত জুলাই মাসে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে বলা যায়, প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে, আজ রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয়  রাফাহ শহরের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ তাদের সেনারা সেখানে অভিযান শুরু করেছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়ে, ইসরায়েলি সেনারা রাফাহর তাল আস-সুলতান এলাকা ঘিরে ফেলেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বারবার তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে, যেখানে তারা মানুষকে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার বেইত হানুনে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল তাদের আক্রমণ পুনরায় শুরু করে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, তিনি হামাসকে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য চুক্তিতে রাজি করাতে সামরিক পথ অনুসরণ করবেন।

অন্যদিকে, হামাস পুনর্ব্যক্ত করেছে, যদি ইসরায়েল পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে সম্মত হয়, তবে তারা সব বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।

গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) থেকে ইসরায়েল ৬০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে।

এর আগে হামাস ঘোষণা করেছে, রোববার ভোরে খান ইউনিসে তার তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় তাদের কর্মকর্তা সালাহ আল-বারদাউইল নিহত হয়েছেন।

মার্চ মাসের শুরু থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি চলছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণ। মানবাধিকার গোষ্ঠী, সাহায্য সংস্থা এবং ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়।