News update
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     

গাজায় ‘এক চামচ’ পরিমাণ সহায়তা ঢুকতে দেয়া হচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-24, 11:05am

9dea07eeca734d1c998c41b594aca1d6304ef18348688723-52b9492a0f5027da8398bb3441dd768e1748063134.jpg




যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এখন ইসরাইলি যুদ্ধের ‘সবচেয়ে নিষ্ঠুর পর্ব’ পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার (২৩ মে) গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘ প্রধান। তিনি বলেন, ইসরাইল যে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে, তা ‘এক চামচের সমান’ এবং সহায়তা পৌঁছাতে ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করছে।

গুতেরেস বলেন, গাজার পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি। কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে প্রায় ৪০০ লরি গাজায় প্রবেশের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছিল, কিন্তু মাত্র ১১৫টি লরি থেকে ত্রাণ বিতরণের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ কিছু গমের আটা, শিশুদের পুষ্টিকর খাবার এবং ওষুধ বিতরণ করতে পেরেছে। এছাড়া কিছু বেকারি দক্ষিণ এবং মধ্য গাজায় কাজ করছে।

গুতেরেস বলেন, আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমরা একটি যুদ্ধক্ষেতের মাঝে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদিত সব সাহায্য এক চা চামচের সমান।

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, গাজার চার-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ। দ্রুত সাহায্য না পৌঁছালে উপত্যকার আরও অনেক মানুষ মারা যাবে বলে তিনি সতর্ক করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলার মাত্রা আরো বাড়িয়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। আহতদের ঠাঁই দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যমতে, গাজার হাসপাতালগুলো এখন কার্যত বিপর্যস্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে চালু আছে মাত্র ১৯টি। এরমধ্যে পুরোপুরি কার্যকর মাত্র ১২টি। গত সপ্তাহে যুদ্ধের সরাসরি প্রভাবে চারটি প্রধান হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। যার মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ইউরোপিয়ান গাজা, কামাল আদন ও হাম্মাদ হাসপাতাল।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ওপর ৭০০র বেশি হামলা হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গত এক সপ্তাহে গাজার স্বাস্থ্যখাতের ওপর ইসরাইলি হামলা প্রায় ৪০০ গুণ বাড়ানো হয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০ ট্রাক পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী দেইর আল বালাহ অঞ্চলে তাদের গুদামে পৌঁছেছে। এদিকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় দক্ষিণ ও মধ্য গাজার কয়েকটি বন্ধ বেকারি আবার চালু হয়েছে। দুই মাস বন্ধ থাকার পর আল-বান্না বেকারির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও চালু হতে শুরু করেছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্য।

ইসরাইল জানায়, কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ৩০০ ট্রাক ত্রাণ ঢুকেছে। তবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এর এক-তৃতীয়াংশও গাজা শহরে পৌঁছাতে পারেনি নিরাপত্তাহীনতার কারণে। উত্তরের দিকে এখনো কোনো ত্রাণ যায়নি, আর নতুন মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ বণ্টন প্রক্রিয়াতেও জাতিসংঘ অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।