News update
  • Dhaka’s air ‘unhealthy for sensitive groups’ Wednesday morning     |     
  • US proposes that the UN authorize a Gaza stabilization force for 2 years     |     
  • Democrat Zohran Mamdani is elected New York City mayor     |     
  • Martyr Mugdha's brother Snigdha steps into politics with BNP     |     
  • FAO Warns of ‘Silent Crisis’ as Land Loss Threatens Billions     |     

কে স্বাধীনতার পক্ষে কে বিপক্ষে, প্রশ্ন ফারুকীর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2024-10-08, 8:37pm

eytertert-f6184b1130782537eecebe78cbb644f81728398230.jpg




বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আন্দোলনের শুরু থেকে সামাজিকমাধ্যমে সরব ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গণঅভ্যত্থানে সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখেছেন। চলমান নানা ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে, দিয়েছেন পরামর্শও।

শুধু আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই নয় বরং দেশে নানান সময় ঘটে যাওয়া নানান ইস্যু নিয়ে কথা বলে দেখা যায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৭ অক্টোবর) আবরার ফাহাদ হত্যার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। এদিন আবরার ফাহাদের বাবা ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের দুটো ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে ‘কে পক্ষ, কে বিপক্ষ?’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

যেখানে ফারুকী বলেন, ‘এই যে ছবিটাতে আবরার ফাহাদের বাবাকে দেখতে পারছেন, তার চেহারার প্রত্যেকটা ভাঁজের দিকে তাকান। যে বেদনা, বিস্ময়, হতাশা দেখতে পান সেই একই হতাশা আর বেদনা হলের বারান্দায় দাঁড়ানো ছাত্রদের বডি ল্যাংগুয়েজেও দেখবেন। এই বেদনাই পরবর্তীতে ক্ষোভ হয় এই কয় বছরে। ফলে আবরার না থেকেও এই অভ্যুত্থানে ছিলেন।’

১৯৯১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ন্যারেটিভ যে আর দোয়ানো যাচ্ছে না, এর কারণ হচ্ছে জনগণ দেখতে পাচ্ছে একাত্তরের আগে আইয়ুব খানের পান্ডা সংগঠন এনএসএফ যে ভূমিকায় ছিল, এই সময়ে ছাত্রলীগ চলে গেছে সেই ভূমিকায়। একাত্তরের জামায়াতের ভূমিকায় চলে গেছে আওয়ামী লীগ। যে দলটা একাত্তরে ছিল জনগণের পক্ষে, এই সময়ে এসে তাদের অবস্থান বিপরীত দিকে।’

স্বাধীনতার পক্ষ মানেই চিরকাল তাকে স্বাধীনতার পক্ষ বলা যাবে এমনটা নয়, সেটা উল্লেখ করে ফারুকী বলেন, ‘আবরার ফাহাদের ঘটনাটা একটা উদাহরণ, একমাত্র না; যেটা দিয়ে আপনি বুঝবেন এককালের স্বাধীনতার পক্ষ মানেই চিরকাল তাকে স্বাধীনতার পক্ষ বলা যাবে তা না। বরং ইতিহাসের পরিহাসে স্বাধীনতার পক্ষ হয়ে যেতে পারে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। ইতিহাসের এক ট্র্যাজিডিই এটা বটে।’ আরটিভি