দেশ বরেণ্য লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। কিডনি, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন একুশে পদক প্রাপ্ত লালন সংগীতশিল্পী।
কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই শিল্পী। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়ার পর গত ৬ জুলাই তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর আবারো তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে এই শিল্পীর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড। বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় পৌনে ১২টা পর্যন্ত বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট এবং ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নেন।
বোর্ড সভা শেষে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিল্পীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। শরীরে কিছু সংক্রমণ থাকলেও তা কাটিয়ে উঠতে সম্ভাবনা রয়েছে। শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।