News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

শিশুর মুখে ঘা: ৭ ঘরোয়া সমাধান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2025-05-15, 6:50am

435345435-b9d2cd6e9b6482b6b98579746a5331921747270210.jpg




বর্তমান সময়ে শিশুদের জাঙ্ক ফুড বা অধিক মসলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। যার ফলে কম বয়সেই বাচ্চাদের মুখে আলসার বা ঘা হচ্ছে। এ ছাড়াও আরও অনেক কারণেই শিশুদের মুখে আলসার বা ঘা হতে পারে। মুখের আলসার বা ক্ষতচিহ্নগুলো ঠোঁটে এবং মুখের ভেতরের মাড়িতে সাদা দাগের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়, যার চারপাশের এলাকা লালচে ও প্রদাহযুক্ত হয়।

এই আলসার বা ঘা স্পর্শ করলে কিংবা পার্শ্ববর্তী ত্বকে টান পড়লে ব্যথা লাগে। ফলে বাচ্চার কথা বলা, চিবানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। বলে রাখা ভালো, শিশুর মুখের আলসার সংক্রামক নয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বাড়িতে চিকিৎসা করা সম্ভব।

জাঙ্ক ফুড বা বাইরের খাবার ছাড়াও এমন অনেক কারণ আছে, যা বাচ্চাদের মুখে ঘা হওয়ার জন্য দায়ী। অনেক সময় কোনো নির্দিষ্ট ওষুধের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এ ঘা হতে পারে। বাচ্চাদের মুখে আলসার বা ঘা কেন হয় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায় জেনে নিন।

বেশ কয়েকটি কারণে শিশুদের মুখে আলসার বা ঘা হতে পারে, যেমন: চাপ, আঘাত, ভিটামিন, খনিজ পদার্থের অভাব, শরীরের তাপ, এমনকি খাদ্য এলার্জি থেকে।

১. মধু: আপনার সন্তান যদি এক বছরের বেশি হয়, তবে মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসা করার সর্বোত্তম উপায় হলো মধু ব্যবহার করা। মধু খাওয়ার পরিবর্তে ক্ষতের ওপর এটি বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করতে হবে। মধুতে প্রচুর জীবাণুবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় করতে সহায়তা করে। তা ছাড়া মধুর মিষ্টি স্বাদের জন্য আপনার সন্তান মধু লাগানো পছন্দ করবে। যাহোক, মনে রাখবেন, এক বছরের চেয়ে কম বয়সের শিশুদের মধু দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

২. হলুদ: ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ ব্যবহার করা। এটিতে প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দ্রুত সব ধরনের ক্ষত ও কাটা নিরাময় করতে সহায়তা করে। হলুদের প্রয়োগ সহজ করার জন্য শিশুকে দেয়ার আগে এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন।

৩. নারকেল: মুখের আলসার চিকিৎসায় নারকেল বেশ উপকারী। পানি, দুধ ও তেল মুখের দূষিত ক্ষতের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি হয় আপনার শিশুকে নারকেলের পানি পান করাতে পারেন, বা তাকে নারকেল দুধ দিয়ে কুলকুচি করাতে পারেন, যাতে প্রভাবিত অংশটি প্রশমিত হয়। অন্যথায়, আপনি শুধু ক্ষতের জায়গাটায় নারকেল তেল প্রয়োগ করতে পারেন।

৪. দই: শিশুদের মুখের আলসারের চিকিৎসার জন্য দই খুব উপকারী। আপনার বাচ্চার মুখে দই কিছু সময় ধরে প্রভাবিত এলাকার চারপাশে লাগান। দইটি টক হলে আলসার দ্রুত নিরাময় হবে। কেননা, দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড আছে, যা ক্ষত এলাকায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি দমন করে।

৫. ঘি: দুধের আরেকটি উপজাত দ্রব্য ঘি আপনার সন্তানের মুখের আলসার নিরাময়ে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। আপনাকে দিনে অন্তত তিনবার প্রভাবিত এলাকায় ঘি প্রয়োগ করতে হবে। এটি ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে এবং ক্ষতের কারণে হওয়া ব্যথা হ্রাস করে শিশুকে অনেক আরাম দেবে।

৬. অ্যালোভেরা: আরেকটি বিখ্যাত ঘরোয়া প্রতিকার হলো অ্যালোভেরা। বাচ্চাদের মুখের আলসার নিরাময় করার জন্য এটি দারুণ উপায়। অ্যালোভেরা ব্যথা থেকে মুক্তি দিয়ে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ও নিরাময় করার গুণগুলো মাড়ির স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।

৭. যষ্টিমধু: ২ কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু ভেজাতে পারেন এবং মুখের আলসার নিরাময় করতে আপনার সন্তানকে প্রতিদিন কয়েকবার এই পানি দিয়ে কুলকুচি করাতে পারেন। যদি শিকড়টি আপনার কাছে গুঁড়া আকারে থাকে, তবে সর্বোত্তম বিকল্পটি হলো অল্প হলুদ বা মধুতে এটি মেশাতে হবে এবং তারপর প্রভাবিত এলাকায় এটি প্রয়োগ করতে হবে। যষ্টিমধু আলসারের চারপাশে ব্যথা হ্রাস করতে এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। মুখের আলসার খুব খারাপ অবস্থায় থাকাকালীন প্রয়োগ করলেও আপনি তাৎক্ষণিক ফল দেখতে পাবেন।