News update
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     
  • Israel to send negotiators to Gaza talks     |     
  • Bangladesh bounce back to level series as Tanvir bags five     |     
  • UN Chief Condemns Russian Attacks, Warns of Nuclear Risks     |     
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     

কর্পোরেটদের জলবায়ু অঙ্গীকারে ‘বড়সড় ত্রুটি’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক error 2022-06-14, 8:07am

59633380_301-0d1fa9ac2ae1d0bb12f248559f6875801655172443.jpg




নেট জিরো ট্র্যাকার জানিয়েছে, অনেক কোম্পানি কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ এবং অস্পষ্ট৷

প্রতিবেদনে কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে কর্পোরেটদের নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে৷ কারণ এটি একাধিক কোম্পানির জলবায়ু লক্ষ্যপূরণের মূল কৌশল৷

সোমবার নেট জিরো ট্র্যাকারের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড় কর্পোরেটগুলি কার্বন নিঃসরণ বিপুল পরিমাণে কমাবে বলে যে পরিকল্পনা করেছিল, তাতে ‘বড়সড় ত্রুটি' রয়েছে৷ তাতে ‘বিশ্বাসযোগ্যতার মারাত্মক অভাব’-ও রয়েছে৷

নিউক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের জলবায়ুনীতির গবেষক তাকেশি কুরামোচি বলেন, ‘‘আমরা এখন এমন সময়ে রয়েছি যেখানে দ্রুত নেট জিরো অঙ্গীকারের জন্য (বিশেষ করে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে) যথেষ্ট চাপ রয়েছে৷ গ্রিন ওয়াশিং বা ডিকার্বনাইজেশনের দিকে একটি মৌলিক পরিবর্তন হতে পারে৷’’

যা-ই হোক, ফোর্বস ২০০০-এর বৃহত্তম কোম্পানিগুলির অর্ধেকই এখনও নেট-জিরোতে পৌঁছানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেনি৷

কী এই নেট জিরো?

নেট জিরো বলতে কার্বন নিউট্রালিটিকে বোঝানো হয়৷ এর অর্থ এই নয় যে, কোনো দেশ একেবারে শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবে কার্বন নিঃসরণ৷ তবে নেট জিরোর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের পাশাপাশি গ্রিনহাউজ গ্যাস দূর করারও লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়৷

রিপোর্ট বলছে, অ্যামাজন, অ্যাপল এবং ফল্কসভাগেন-সহ নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা নেয়া  ৭০২টি কোম্পানির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ স্পষ্ট করেনি যে তারা কীভাবে সেই লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা করেছে৷

‘অগ্রহণযোগ্যভাবে কম’ লক্ষ্য

যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইসিআইইউ) এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত, প্রায় ২০০টি দেশের পাশাপাশি বৃহৎ বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলির জন্য সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ ডেটা মূল্যায়ন করে নেট জিরো ট্র্যাকার৷

জার্মান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নিউক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের জলবায়ু নীতি বিশ্লেষক ফ্রেডেরিক হ্যানস রিপোর্টের সহ-লেখক বলেছেন, ‘‘বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে৷ এই লক্ষ্যমাত্রাগুলির গুণমান এবং পাকাপোক্তভাবে তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে  অনেক সমস্যা দেখতে পাচ্ছি৷’’

প্রতিবেদনটিতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য অনেক কোম্পানির নেয়া ‘অগ্রহণযোগ্যভাবে কম' লক্ষ্যমাত্রাগুলিও উল্লেখ করা হয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে আগামী আট বছরে এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা কার্বন নিঃসরণ অর্ধেক করতে খুব একটা কার্যকর হবে না৷

কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়টিও রয়েছে প্রতিবেদনে৷ অন্যত্র নির্গমন হ্রাসের জন্য ক্রেডিট কেনা প্রায়ই কর্পোরেশনগুলির জন্য একটি মূল কৌশল৷ তারা দাবি করছে, জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে তারা৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এর কার্যকারিতা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷

ইসিআইইউ-র সহ-লেখক জন ল্যাং বলেন, ‘‘যদি কোম্পানিগুলোকে হিসাব দিতে হয়, তাহলে নেট-জিরো অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনি মান বেঁধে দিতে হবে৷ সরকার কী চায় তা নিয়ে কোম্পানিগুলিও বিভ্রান্ত৷ তারা জানে না কী তথ্য প্রকাশ করতে হবে৷

গত বছর গ্লাসগোতে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে, জাতিসংঘ বেসরকারি খাতের জন্য কঠোর নেট-জিরো মান তৈরি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন নভেম্বরে গৃহীত নেট-জিরো রিপোর্টিং মানের খসড়া তৈরির প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে৷ তবে এটির বর্তমান প্রক্রিয়ায় সমস্যা রয়েছে৷ এর ফলে কোম্পানিগুলি নেট-জিরোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কার্বন নির্গমন কমানো সংক্রান্ত গণনা করতে পারে না৷

ল্যাং বলেন, ‘‘কোম্পানিগুলিকে পথ দেখাতে নির্দিষ্ট বিধি কার্যকর করা প্রয়োজন৷'' তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, এই নভেম্বরে মিশরের শারম আল-শেখ-এ জাতিসংঘের পরবর্তী জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আগে (সিওপি-২৭) আদৌ এই সমস্যার সমাধান হবে কিনা৷ তার মতে, ‘‘সম্ভবত সিওপি-২৮-এর আগে এই বিধি ঠিক করা সম্ভব নয়৷’’ তথ্য সূত্র ডয়চে ভেলে বাংলা।