News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারত-চীনকে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2025-01-27, 9:02pm

wrwerwerwe-cc8fb23889bd92fca3c7b928d25eba611737990173.jpg




ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫৫তম পরিচালনা বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন। এর আগে বোর্ডের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত হন তিনি।

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশে পানি সংকট ও খরায় কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার কথা বলা হয়েছে। চীনের তিব্বতে সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য চেয়ে চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে চীন আমাদের বলেছে, তাদের এই প্রকল্পে লোআর রিপারিয়ান (নিম্ন জলজ ভূমি এলাকা) দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারপরও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, তারা যেন তথ্য-উপাত্ত চায়। কারণ তথ্য-উপাত্ত না পেয়ে এখনও বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে ভারতে যেখানে বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সহিংসতার ক্ষেত্রে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয় নিয়ে সরকারি সংস্থা কাজ করছে। এ সহিংসতার পেছনে কোনো উস্কানি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে সরকারি সংস্থা কাজ করছে। তারা তদন্ত করে বের করবে এগুলো উস্কানিমূলক ছিল কিনা। এটা মেডিকেট করার আর কোনো উপায় ছিল কিনা। আমরা সবাইকে আহ্বান করবো ধৈর্য ধরার জন্য।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন দেশ গড়ার সময়, এখন দেশ না গড়ে আমরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছি, এটা কারো জন্য শুভ নয়। বিশেষ করে ছাত্র সমাজের ওপরে আমরা অনেক ভরসা করি। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ চলে গেছে, গণতন্ত্রের পথে যাত্রার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের অভিবাদন জানাই, তারা যেন এই জিনিসটা তাদের মাথায় রাখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে যাওয়া আমাদের জন্য এমনিতেই কঠিন। কোনো অসহিষ্ণু আচরণের জন্য তা, যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ রয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘একদিকে পদ্মায় অন্যদিকে তিস্তার পানি কমে গিয়েছে। এখন যদি ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যায় তাহলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাবে এবং বড় ধরনের কম্প্রোমাইজে পড়ব। কাজেই উভয় দেশের কাছে আমরা চাইব, আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে।’

নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন কাজের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নদী গবেষণাকে কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেটা তাদের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করবে। যেমন শিল্প প্রবণ এলাকায় নদী কী পরিমাণ দূষিত হয়ে থাকে, ঢাকার বড় বড় নদীগুলো দূষণের বিষয়ে জিপিএস পয়েন্ট দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান জানাবে। তাহলে দাতা সংস্থা থেকে লোন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ইকোসিস্টেমের ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে এবং ওই বিষয়ে এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু গবেষণা সরকারি পর্যায়ে হয়ে থাকে। সে গবেষণাগুলোতে দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য সংস্থা দিয়ে করিয়ে থাকে। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা রয়েছে সেখানে কাজ করতে বলা হবে এবং সেটা সরকারি যে সংস্থা যাকেই চুক্তি দেয়া হোক না কেন সে বিষয় চুক্তিপত্রে লেখা থাকবে।

পরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এস এম আবু হুরায়রা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক তাহমিদুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের  মোহাম্মদ ইউসুফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

বিকালে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।