News update
  • Next polls in Feb "foundational” to set future course of BD     |     
  • Fuel oil crisis hits 5 N districts as Rangpur depots run dry     |     
  • Shibir’s Silent Resilience Yields Historic Ducsu Victory     |     
  • Nepal army deployed as protesters want ex-CJ as interim leader     |     
  • RMG workers block Dhaka-Mymensingh highway for Aug salary     |     

আঁটি, কানাই বিলীন: বুড়িগঙ্গাসহ আরও ৪ নদী মৃতপ্রায়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2025-05-23, 2:19pm

befcdc9889d2caa2c1ab74d80fec8f8aede53ca5095d716a-e9cfdbfa6c2ba310c4dbf6e3d067dc441747988378.jpg




বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহর রাজধানী ঢাকা। প্রায় ৪০০ বছর বয়সী এই শহরটি ঘিরে একসময় ছিল অনেক নদ-নদী আর খাল। 

নদী গবেষকরা বলছেন, খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, স্বাধীনতাকালেও ঢাকা জেলায় নদী ছিল অন্তত ১৫টি। এরমধ্যে মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে গেছে আঁটি, কানাই, দোলাই, পান্ডো ও নড়াইসহ বেশিরভাগ নদ-নদী।

বর্তমানে একদিকে বুড়িগঙ্গা আর বাকি তিন দিকে মালার মতো ঢাকাকে ঘিরে রয়েছে তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী। এই চার নদীও এখন দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। এখনই পদক্ষেপ না নিলে নদী তো বটেই ক্ষতির মুখে পড়বে মেগা সিটির পরিবেশ-প্রতিবেশ। বৈশ্বিক এক সমীক্ষা বলছে, আগামী ২০ বছরে সেই ক্ষতি গিয়ে ঠেকবে প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলারে।

১৬ বছর আগে উচ্চ আদালত ঢাকার চার নদী থেকে দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও আসে সেখানে। কিন্তু তা আসলে কতটা সম্ভব হয়েছে?

উচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সীমানা পিলার নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও সেখানেও আছে শুভঙ্করের ফাঁকি।

রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা বলছে, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগকে দখলমুক্ত করতে বসানো ৩ হাজার ৮৪টি সীমানা পিলারের মধ্যে নদীর মধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৪২৩টি। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গার পশ্চিম প্রান্তে ২২৮টি ও পূর্ব প্রান্তে ৮৪টি, তুরাগ নদের পশ্চিম প্রান্তে ৭০২টি ও পূর্ব প্রান্তে ৪০৯টি। এমনকি কোথাও কোথাও পোর্ট আইন-১৯৬৬ ও বাংলাদেশ পানি আইন-২০১৩ না মেনে পিলার নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সহকারী প্রধান (পরিবেশ ও প্রতিবেশ) সাকিব মাহমুদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের যে বিশ্লেষণটা রয়েছে সেটার কাজ করা হচ্ছে। সামনে আরও কার্যকর করা হবে। দখল-দূষণ ও নাব্যতার বিষয় থাকে, নদীর অভিভাবক হিসেবে ব্যাপারগুলো আমরা কীভাবে দেখতে পারি, কীভাবে কারিগরিভাবে সমাধান করতে পারি, এর জন্য প্রত্যেকটা দফতর যেন একসঙ্গে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

অধ্যাপক ও পরিবেশবিদ  আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান- কেউ পিছিয়ে নেই। সবাই সবশেষ দখলদারিত্বের ক্ষমতাটি নদীর ওপর দিয়ে থাকে। আমাদের পরিবেশ একটি সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার যারা যারা খর্ব করছে, তারা সবাই মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ অবশ্যই থাকতে হবে। সময়।