ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ফাইনালের মধ্যে দিয়ে পর্দা নেমেছে নানা বিতর্কের ১১তম বিপিএলের। বিতর্কের মাঝে কয়েকটি ভালো বিষয়ও ছিল, যেমন এবার প্রতি ম্যাচেই ভালো রান হয়েছে।
বিপিএলের মাত্র তিনটি আসরে কোনো ব্যাটার পাঁচশর বেশি রান করেছেন, এরমধ্যে এবার হয়েছে একটি। খুলনা টাইগার্সের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ১৪ ইনিংসে ৫১১ রান করেছেন। ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইকরেটে খেলা নাঈম অবধারিতভাবে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর টুর্নামেন্টসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন। ওপেনিংয়ে নাঈমের সঙ্গী শিরোপাজয়ী দলের তামিম ইকবাল। ১৪ ইনিংসে তামিম এ আসরে করেছেন ৪১৩ রান। জুনিয়র তামিম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৫ রান করেও একাদশে জায়গা পাননি।
ওয়ানডাউনের জন্য নেওয়া হয়েছে জাকির হাসানকে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই ব্যাটার এবারের আসরে ১২ ইনিংসে করেছেন ৩৮৯ রান, তার দল বাদ পড়েছে গ্রুপপর্ব থেকে। এরপর আছেন চিটাগংয়ের গ্রাহাম ক্লার্ক, এই ইংলিশ ফাইনালে ২৩ বলে ৪৪ রানসহ সর্বমোট ৪৩১ রান করেছেন।
ক্রিকইনফোর একাদশে পাঁচ নম্বরে জায়গা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহকে। রংপুরের হয়ে ২৯৮ রান করার পাশাপাশি তিনি নিয়েছেন ১৭ উইকেট। প্লেঅফ শুরু হওয়ার আগেই পাকিস্তানে চলে যান তিনি। এরপর আছেন খুলনার উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৩১৬ রান করার পাশাপাশি ৭টি ডিসমিসাল পেয়েছেন এই ২৫ বছর বয়সি। ব্যাটিং অর্ডারের ৭ নম্বরে জায়গা পাওয়া ফাহিম আশরাফ ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। খুশদিলের মতো তিনিও পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকায় প্লেঅফ শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ছাড়েন।
দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার মাত্র একজন—আলি আল ইসলাম। চিটাগংয়ের এই রহস্য স্পিনার ১৫ উইকেট নিয়েছেন। বাকি তিনজন পেসার—তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ ও আকিফ জাভেদ। তাসকিন এবার ভেঙেছেন বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের রেকর্ড। এই আসরে তিনি নিয়েছেন ২৫টি, আগের সর্বোচ্চটি ছিল সাকিবের (২৩)। খালেদ আহমেদ ও আকিফ জাভেদ দুজনই ২০টি করে উইকেট নিয়েছেন।
একাদশে জায়গা হয়নি টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজের।
টুর্নামেন্ট সেরা একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম, তামিম ইকবাল, জাকির হাসান, গ্রাহাক ক্লার্ক, খুশদিল শাহ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, ফাহিম আশরাফ, আলিস আল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ ও আকিফ জাভেদ। সময়