News update
  • At Cannes opening, Robert De Niro calls Trump 'America's philistine president'     |     
  • US-China deal to slash tariffs also eases burden on cheap packages     |     
  • Prof Yunus begins Chattogram tour with packed engagements     |     
  • Global Displacement Reaches Record 83.4 Million in 2024     |     
  • Investment, Jobs Take Priority Over Politics: Bida Chief     |     

একুশের চেতনা কোনোদিন ম্লান হবে না : রিজভী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক Nation 2025-02-21, 1:51pm

rizvi_2-52e420f6dd4bc92ab551f207ab0d6e7a1740124316.jpg




‘আবার যদি দেশে ফ্যাসিজমের উত্থান হয় একুশের চেতনাই তা রুখবে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা অম্লান, এই চেতনা কোনোদিন ম্লান হবে না। যদি আবারও কোনোদিন ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটে, কোনো ধরনের ডিক্টেটরের উত্থান ঘটে; একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দামাল ছেলেদের, এ দেশের জনগণকে আবারও রাজপথে লড়াইয়ে নামতে উদ্ধুদ্ধ করবে।’

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি, ৫২এর একুশে ফেব্রুয়ারি যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে এমন একটি চেতনা, এমন একটি বৈপ্লবিক আদর্শ, যা আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে, যেটাকে কখনোই ধবংস করা যায় না, ম্লান করা যায় না। একুশে ফেব্রুয়ারি যুগ যুগ ধরে, অনাদিকাল ধরে যতদিন পৃথিবীতে মানুষ এবং আমাদের সমাজ-সংসার থাকবে, ততদিন আমাদেরকে সাহস জোগাবে এবং লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করবে।’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘একুশ মানে অধিকারের সংগ্রাম, একুশ মানে সাংস্কৃতিক সংগ্রামও। এটা ছিল জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম সোপান। এই ভাষা আন্দোলনের সোপান পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের দিকে। আমাদের মহা-অর্জন আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। যখনই আমরা স্বৈরাচারের কবলের মধ্যে পড়েছি, যখন দেশে গণতন্ত্রহারা মানুষ বন্দিশালার মধ্যে বাস করেছে তখন ৫২ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে, আমাদের প্রেরণা জাগরিত করেছে। কীভাবে আমরা এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একুশের প্রেরণাতে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি, অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে, তাদের রক্তাক্তপথ পেরিয়ে চূড়ান্ত যে আন্দোলন, ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব, সেটির মধ্য দিয়ে সেই ভয়ঙ্কর উৎপীড়ক, রক্তপিপাসু স্বৈরাচার এবং ভয়ঙ্কর দুর্নীতিবাজ সরকার তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’

এই সরকারের দায়িত্ব একটা নির্বাচন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ নির্বাচন করা এবং এর সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে, বিভিন্ন সংস্কার আছে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ তাদের নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে, তারাই নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে। আপনারা দেখেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী জিতেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান জিতেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনে মোহাম্মদ হানিফ জিতেছে। বিএনপির সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করায় বিরোধীরা জিতেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেটা হয়নি।’

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া তথ্য সঠিক নয় উল্লেখ করে বিএনপিনেতা রিজভী বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু নেতা বা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হবেন। এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের দল বিএনপির অবস্থান নয়। এই কথাটা আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম।’

এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় নিউ মার্কেটের কাছে বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিশাল প্রভাতফেরি নিয়ে আজিমপুর কবরাস্থানে যান। সেখানে ভাষা শহীদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সুরা ফাতেহা পাঠ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসে বিএনপির প্রভাতফেরি। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। রিজভীর নেতৃত্বে শহীদ মিনারের বেদীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন—দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়নসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তথ্য সূত্র সময়।