News update
  • Dhaka’s Per Capita Income Rises to USD 5,163     |     
  • DSE turnover dips 18% despite weekly gains in key indices     |     
  • 65 Nations Sign UN Treaty to Combat Cybercrime Globally     |     
  • Dhaka’s air quality ‘unhealthy’ 5th worst in world Saturday     |     
  • Dhaka’s air recorded unhealthy on Friday morning     |     

বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর বিজয়ে জামায়াতের বৃক্ষরোপণ

পরিবেশ 2025-09-30, 10:19pm

bangladesh-jamat-e-islami-kuakata-municipal-unit-has-planted-saplings-on-newly-raised-islet-bioy-in-the-bay-of-bengal-on-tuesday-30-sept-2025-383782530e9f50a79dabf77d01a12ffa1759249167.jpg

Bangladesh Jamat-e-Islami Kuakata Municipal Unit has planted saplings on newly raised Islet Bioy in the Bay of Bengal on Tuesday 30 Sept 2025.



পটুয়াখালী:  পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন দ্বীপ ‘চর বিজয়’-এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখা। মঙ্গলবার দুপুরে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দ্বীপটিতে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে সংগঠনটির উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়।

কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে স্পিডবোটে ২০ জন কর্মী চর বিজয়ে পৌঁছে তাল, বট, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করেন। পাশাপাশি চরের আশপাশে থাকা জেলেদের মধ্যে সংগঠনটির পরিচিতি ও প্রচার কার্যক্রমও চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখার সাবেক আমির ও কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা মাইনুল ইসলাম মান্নান, পৌর শাখার প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির, পৌর যুব জামায়াতের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মুসল্লী এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিট সভাপতি বশির আল হেলাল।

প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির বলেন, 'চর বিজয় সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য। এখানে সমুদ্র ভাঙনের ঝুঁকি অনেক বেশি। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।এ কর্মসূচি রাজনৈতিক নয়, বরং পরিবেশ রক্ষার মানবিক উদ্যোগ। আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ উপকূল।'

সাবেক পৌর আমির মাওলানা মাইনুল ইসলাম মান্নান বলেন, চর বিজয়কে আমরা সম্ভাবনাময় দ্বীপ মনে করি। নিয়মিত বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ নেওয়া গেলে এটি পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে।

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা) যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল হোসেন রাজু বলেন, উপকূলের ভাঙন রোধ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত জরুরি। চর বিজয়ের মতো নতুন দ্বীপে এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।

মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চর বিজয়ের অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা অবগত। ইতোমধ্যে শুনেছি জামায়াতের কর্মীরা সেখানে ব্যাপক চারা রোপণ করেছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও সেখানে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে।

পরিবেশকর্মীদের মতে, চর বিজয়ের মতো নবজাগ্রত দ্বীপে বৃক্ষরোপণ শুধু ভাঙন রোধই নয়, পাখি, মাছসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও বড় ভূমিকা রাখবে। - গোফরান পলাশ