Zainul Huq, GS, Biplab Workers Party.
প্রধান উপদেষ্টার ভাষনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষনে ভারতের বৈরীতার ব্যাপারে কোন কথা নেই।
প্রধান উপদেষ্টার সামাজিক ব্যবসার ধারণা সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেনা, এর কার্যকারিতা সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রদত্ত ভাষণ সম্পর্কে বলেছেন, ভাষনে তিনি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাংখা তুলে ধরেছেন, তার সরকারের অগ্রাধিকার সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন; কিন্তু গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করেননি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে এ ব্যাপারে তিনি একটা ধারণা দিতে পারতেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন, রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বিষয়ে তিনি তার সরকারের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তার ভাষনে ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের হত্যাসহ ভারতের মোদি সরকারের বাংলাদেশ বিরোধী বৈরী তৎপরতা সম্পর্কে কোন কিছুই উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এসব বিষয় বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা দরকার ছিল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার কথা তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন, কিন্তু দেশের অর্থ সম্পদ অল্প সংখ্যকের হাতে পুঞ্জিভূত হওয়া ও ধনি - গরীবের অবিশ্বাস্য ফারাক, শোষণ - বঞ্চনা ও বৈষম্য সম্পর্কে তার বক্তব্যে তেমন কিছু উল্লেখ নেই।
বেকারত্ব দূরীকরণ ও সামাজিক স্থিতি প্রতিষ্ঠায় সংকট উত্তরণের নিদান হিসাবে তিনি সামাজিক ব্যবসা সম্প্রসারণের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন ; অথচ এই ব্যাপারে দেশের অধিকাংশ মানুষ বিশেষ কিছু জানেনা। তাছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্য নির্মূলে তার এই তত্বের কার্যকারীতা সম্পর্কেও নানাবিধ প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, এসবের পরেও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষন ব্যতিক্রমী সন্দেহ নেই।তার ভাষন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বার্তাই দিয়েছে। - প্রেসবিজ্ঞপ্তি