ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশ বাঁচাতে সরকার হটানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পবিত্র রমজানে সংযমের মাধ্যমে আমরা পরিশুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করি। কিš‘ দেশে কষ্টকর অব¯’া চলছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষের দুর্বিষহ জীবন। গ্যাস, বিদ্যুত ও পানির দাম বেড়েছে। তিনমাসে একাধিকবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এককথায় দেশে পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসেনানী ও গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সাথে ইফতারে থাকতেন। আজকে তাকে ছাড়াই আমরা ইফতার করছি!
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ধরে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে ততদিন ধরে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে পরিকল্পিতভাবে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যব¯’া ধ্বংস করেছে। সেজন্য তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাইছে।
তিনি বলেন, আমরা যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। আজকে ইফতার মাহফিলের এই সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সু¯’ রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সরকার দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেশে সঙ্কট তৈরি করেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার আরো ক্ষমতায় থাকলে দেশে সংকট আরো বাড়বে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই সরকারকে হটাতে হবে।
রাজধানীর মতিঝিলে হোটেল পূর্বাণীতে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপ¯ি’ত ছিলেন বিএনপির ¯’ায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, নিলোফার চৌধুরী মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বে”ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের আমিনুর রহমান আমিন।
২০-দলীয় জোট ও অন্যান্য দলের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, রামকৃষ্ণ সাহা, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির মাহমুদ খান, বিএমএল’র শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী সহ বিভিন্ন দলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।