Seminar on Effective Implementation and Enforcement of key Reform Proposalsin Bangladesh held in Toronto, Canada,
সফল জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে নিপীড়ক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পলায়নের পর বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্র মেরামত।
সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে তার বাধাগুলো কী এবং সেই বাধাগুলো জয় করে উত্তরণের পথ কী, এ নিয়ে প্রাণবন্ত এক আলোচনা ছিল আজ টরন্টোয়।
'বাংলাদেশের সংস্কার প্রস্তাবসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন ও জনজীবনের সর্বস্তরে প্রয়োগের উপায় ও চ্যালেঞ্জ' শিরোনামের এই আলোচনা সভার আয়োজক 'কানাডিয়ান সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ'।
আয়োজন হয় টরন্টো পাবলিক লাইব্রেরীর এগলিন্টন স্কয়ার শাখার মিলনায়তনে।
কানাডা, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রুনেই দারুস সালাম থেকে সংস্কার কমিশনের সদস্য, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সম্পাদক, গবেষক, সমাজকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা এই আলোচনা সভায় সশরীরে ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন।
ঢাকা থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ডঃ হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি ব্র্যাক-এর চেয়ারম্যান এবং পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)-র নির্বাহী চেয়ারম্যান।
সভাপতিত্ব করেন কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ আহমেদ সফিকুল হক। স্বাগত জানান আয়োজক আবদুল হালিম মিয়া।
আলোচনায় ঢাকা থেকে অংশ নেন বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লিডারশীপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের ডঃ সিনহা এম এ সাঈদ ও 'জবান' সাময়িকী সম্পাদক রেজাউল করিম রনি।
টরন্টো থেকে আলোচনা করেন বাংলাদেশের শ্রম বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সাবেক সচিব ডঃ মাহফুজুল হক, লেকহেড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, লরেনশিয়ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ সাদিকুল ইসলাম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈকত রুশদী, আলগোমা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ নুসরাত আজিজ, সাবেক ছাত্রনেতা ও পিএইচডি শিক্ষার্থী মোঃ সাহাবুদ্দিন লাল্টু, সমাজকর্মী সবিতা সোমানী প্রমুখ।
আলোচকরা বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নানা বাধা চিহ্নিত করেন এবং তা' নিরসনে রাজনৈতিক দল সমূহের ঐক্যমত্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তাঁরা মতৈক্য হওয়া সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর আগাম অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন।
কেননা, আগামীতে বাংলাদেশকে একটি অগ্রগামী দেশ হিসেবে বিনির্মাণ করতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ সম্পন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই যেন প্রস্তাবিত সকল সংস্কার বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য হয়, এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের। - সৈকত রুসদীর ফেসবুক পেজ থেকে