News update
  • Romania Urged to Open Dhaka Mission as Trade Surges     |     
  • Over 41,000 Containers Stuck at Ctg Port Amid Strike     |     
  • WB Grants $270m Loan to Boost Bangladesh’s Recovery Plans     |     
  • Bangladesh's Per Capita Debt Rises Sharply to $483     |     
  • Yunus to Visit UK in June to Boost Bangladesh-UK Ties     |     

আনন্দে কাঁদছেন ঝিনাইদহের রবুজা খাতুন

আহমেদ নাসিম আনসারী Woman 2022-03-10, 12:21am

home-106a6c241b8797f52e1e77317b96a2011646850063.jpg




আনন্দে কাঁদছেন বিধবা রবুজা খাতুন । বয়স ৫৫ বছর চলছে। ১৮ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর পরের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করেই সংসার চলে। এক ছেলে ও দুই মেয়েকে বড় করেছেন বহু কষ্টে। বিয়েও দিয়েছেন। তারা এখন আর কোন খোঁজ খবর নেয় না। জীবনে অভাব ও দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই দেখা হয়নি তার।

এলাকাবাসী জানান, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামে তার বসবাস। সে ওই গ্রামের মৃত উম্বাদ মালিতার ছেলে আলীহিম মালিতার বাড়িতে থাকে। কাজের বিনিময়ে পেটেভাতে ও থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে তারা। এর সাথে সে অন্যান্য বাড়ীতেও কাজ করে।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার অফিস জানায়, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক অসহায় ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মান করা হচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। ঘর গ্রহিতা নির্বাচনে পাঁচজন অসহায় ভূক্তভোগীর নাম ও ঠিকানা পুলিশ হেড কোয়াটারে পাঠানো হয়েছিল। হেড কোয়াটার কর্মকর্তারা রবুজা খাতুনের নাম নির্বাচন করেছেন।

জীবণে প্রথম ঘর পাওয়া  রবুজা খাতুন জানান, আমার স্বামী ইসলাম মন্ডল মারা গেছেন ১৮ বছর আগে। সেও দিনমজুরের কাজ করতো। নিজের ঘরতো পরের কথা এবাড়ী ওবাড়ীতে থেকেই জীবণ পার করে ফেললাম। পুলিশ কর্তৃক অসহায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত ঘর পেয়ে বিধবা হতদরিদ্র রবুজা খাতুন ভীষণ খুশি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন সুবিধাভোগী তিনি।

তিনি আরো বলেন, এখন শুধু দিন গুনছি কবে ৩১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) আসবে। ঘর উদ্বোধন করা হবে। ঐ দিন থেকে ঘরে থাকতে পারবো নিজের মতো করে। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার না বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

হরিনাকুন্ড থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, পুলিশ হেড কোয়াটার কর্তৃক সমগ্র বাংলাদেশে প্রতিটি থানা এলাকায় ভূমিহীন হতদরিদ্রদের জন্য নির্মীত ঘর একযোগে আগামী ৩১ মার্চ উদ্বোধন করা হবে।

তিনি আরো জানান, নারায়নকান্দী গ্রামে  বাগান পাড়ায় দুই শতক জমি সরকারীভাবে ক্রয় করে নির্মান করা হয়েছে দুই কক্ষ বিশিষ্ট বাড়ী। সেখানে রয়েছে ল্যাট্রিন ও বারান্দা। ঘর নির্মাণে উন্নত মানের রঙিন ব্লক টিন, ইটের বদলে ব্লক, মজবুত খুটি, উন্নত রং , মোটা তারের বেড়া, উন্নতমানের মোটা সিডের জানালা দরজা বানানো হয়েছে। যা দূর্যোগ সহনীয়, এখানে পাকা কলপাড় বানিয়ে পানির জন্য টিউবয়েল বসানো হয়েছে।

তিনি যোগ করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর তৈরীতে সার্বক্ষনিক তদারকি করেছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম।