News update
  • Bangladesh earthquake death toll rises to 10; scores injured     |     
  • CA for Armed Forces' efficient role to ensure smooth, festive polls     |     
  • Tarique Rahman calls for urgent disaster preparedness after quake     |     
  • UN Unveils UN80 Action Plan to Drive System-Wide Reforms     |     
  • Guterres Urges G20 to Show Leadership and Vision in SA     |     

সজ্জন ও দানশীল মানুষ হিসেবে পরিচিতি ছিল সোহাগের, হত্যাকাণ্ডে শোকস্তব্ধ গ্রামবাসী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অপরাধ 2025-07-12, 7:56am

eb92fdc79a91a2e76accf6c4740ec2bb3fe07535fcebddd8-d81161c133d55568f42e7765cdbc0bf31752285409.jpg




ঢাকায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বরগুনার তার নিজ গ্রামে। সোহাগ ছিলেন একাধারে একজন সজ্জন ব্যবসায়ী, দানশীল মানুষ এবং সবার প্রিয় মুখ- তাকে এভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা কেউই মেনে নিতে পারছেন না।

পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই সোহাগ ঢাকায় থাকলেও গ্রামের সঙ্গে তার হৃদ্যতা ছিল অটুট। ঈদ কিংবা কোনো উৎসব এলেই ছুটে আসতেন গ্রামে। গ্রামের গরিব-দুঃখীদের জন্য তার দরজা ছিল সবসময় খোলা। অসুস্থ কারো চিকিৎসা হোক, কিংবা মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন, সোহাগ এগিয়ে যেতেন নির্দ্বিধায়।

সম্প্রতি তিনি নিজ গ্রামে নির্মাণাধীন একটি মসজিদের জন্য এক লাখ টাকা দান করেছিলেন। কিন্তু আজ সেই মসজিদের মিনার তাকিয়ে আছে সেই মানুষের প্রতীক্ষায়, যিনি আর কোনোদিন ফিরবেন না।

সোহাগের প্রতিবেশী প্রবীণ বাসিন্দা আলম মিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সোহাগ ছিল এলাকার গর্ব। দান-সাহায্যের পাশাপাশি সবার খোঁজখবর নিতো হাসিমুখে। ছোট-বড়, ধনী-গরিব সবাই তার কাছে সমান ছিল। আজ সে নেই, আমরা সবাই যেন অভিভাবকহীন হয়ে গেলাম।

তবে সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র দেখা গেছে সোহাগের পরিবারের মধ্যে। ১০ বছরের ছোট্ট ছেলে সোহান বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলছিল, 'আমার বাবাকে ওরা এভাবে মেরে ফেলল, আমরা এখন কোথায় যাব? কার কাছে থাকব? কে আমাদের ভরণপোষণ দেবে? আমার বাবা মানুষজনকে সাহায্য করত, এখন আমাদের অন্যের সাহায্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।

সোহাগের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেছে, 'আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আর কোনো মেয়ে যেন বাবাকে এভাবে হারায় না, এই নিশ্চয়তা রাষ্ট্রের কাছে চাই। ওরা শুধু আমার বাবাকেই মেরে ফেলেনি, আমাদের পুরো পরিবারটাকে শেষ করে দিয়েছে।'

ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় চাঁদা না দেয়ার কারণেই এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মৃত্যুর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।