News update
  • Israeli Assault Has Plunged Gaza Into Worst Economic Collapse     |     
  • Woman sent to jail on charges of killing 8 puppies in Pabna     |     
  • UN Assembly Urges Decisive Action to Resolve Israel-Palestine Conflict     |     
  • Sediment-borne fertility transforms northern Bangladesh     |     
  • 3 Armed Forces Chiefs, Jamaat Ameer visit Khaleda Zia at Hospital     |     

বাজেটে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়: সানেম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-06-08, 2:44pm

fdsdsest-3c0f7fdb56acd47658fb5f5bb84e7c231717836291.jpg




মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে (২০২৪-২৫) প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা বাস্তবসম্মত নয়।

শনিবার (৮ জুন) মহাখালী ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত ‘বাজেট পর্যালোচনা ২০২৪-২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সংস্থাটির রিসার্চ ডিরেক্টর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা।

তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি ও সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রাখাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের জন্য চ্যালেঞ্জ। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এই বাজেটে, তা বাস্তবসম্মত নয়। বৈদেশিক ঋণ ও অভ্যন্তরীণ ঋণের সরাসরি প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতির ওপর। তাই প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন ড. বিদিশা।

এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা, নিত্যপণ্যে উৎসে কর তুলে দেয়াসহ স্বাস্থ্যখাত এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে সংস্থাটি। তবে এই বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যয় করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি টিসিবির কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করায় সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সানেম।

ড. বিদিশা আরও বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধরনের বিধান রাখা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তাই সানেমের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানান তিনি।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটের আকার আরও ছোট করা সম্ভব ছিল। রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রাকে কমিয়ে বাজেটের আকার আরও ছোট করলে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়া যেত। এক্ষেত্রে ন্যূনতম করসীমা আরও বাড়ালে মধ্যবিত্তরা স্বস্তিতে থাকতো। তাছাড়া কর্মসংস্থান বাড়াতে শ্রমঘন শিল্প ও ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোগ (এসএমই) খাতকে উজ্জীবিত করার প্রয়োজন ছিল বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বিশাল অঙ্কের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। সময় সংবাদ