News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় সব পোশাক কারখানা খুলেছে, কাজকর্ম স্বাভাবিক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-07-24, 7:31pm

kuukjukkjui-c7965bb8ce3c33d2a77a51b44deb88f21721827868.jpg




সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন ও সহিংসতার কারণে গত চার-পাঁচদিন ধরে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানের পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রামে এবং বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকার অধিকাংশ কারখানাই খুলেছে।

রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার কারখানাগুলোতে বুধবার সকাল থেকেই পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। কারখানাগুলোতে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল স্বাভাবিক। কারখানায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের কারফিউ পাসের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাদের সঙ্গে থাকা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রই কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক ও উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ জানান, ঢাকার ডেমরা, তেজগাঁওসহ অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত তার ৫টি পোশাক কারখানার সব কটির কাজই শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। এ সব কারখানায় মোট প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। অধিকাংশ শ্রমিকই কাজে যোগ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তাছাড়া কারখানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান বিজিএমইএ’র পরিচালক। কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের কারফিউ পাসের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাদের নিজ নিজ কারখানার পরিচয়পত্রই কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অপরদিকে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, তার মালিকানাধীন স্টার্লিং গ্রুপ ও ইউনিকর্ন সোয়েটারসহ সব মিলিয়ে ৯টি কারখানাই বুধবার থেকে পুরোদমে চালু হয়েছে। নয়ারহাট, গাজীপুর এবং সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত এসব কারখানায় ২৫ হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করেন। বুধবার শ্রমিকদের উপস্থিতির হারও সন্তোষজনক বলে জানান সিদ্দিকুর রহমান।

এদিকে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও বুধবার খুলেছে প্রায় সবগুলো কারখানা। প্রশাসনের নিরাপত্তার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই খুলে যায় চট্টগ্রামের অনেকগুলো কারখানা। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার খোলে প্রায় সবগুলো কারখানা। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের উপস্থিতিও প্রায় স্বাভাবিক বলে জানান এইচকেসি অ্যাপারেল লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল আলম চৌধুরী। 

তার মালিকানাধীন ৬টি কারখানা মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। এসব কারখানায় শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ বলে জানানো হয় সময় সংবাদকে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও বহদ্দারহাটসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত তার এসব কারখানার আশপাশের পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান রাকিবুল আলম।

বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিজিএমইএ’র উদ্যোগে কারখানাগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতিও মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে পোশাক কারখানাগুলোর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কারখানা এলাকাগুলোতে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে সময় সংবাদকে জানান শিল্প পুলিশের প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মাহাবুবুর রহমান।

তিনি জানান, পুরো শিল্পাঞ্চল এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। কারখানাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে কাজ হচ্ছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি নজরদারি করছে শিল্প পুলিশের ইউনিটগুলো। যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে শিল্প পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। কারখানাগুলোতে নির্বিঘ্নে উৎপাদন বজায় রাখতে ও সেসব এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বিজিএমইএর সঙ্গে কাজ করছে শিল্প পুলিশ।

এর আগে সহিংসতার কারণে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানাগুলো চালুর ব্যাপারে মঙ্গলবারে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বিজিএমইএ ও বিকেইমইএ’র নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে অবিলম্বে কারখানাগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবারই চট্টগ্রামের কিছু কিছু কারখানা এবং বুধবার রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের প্রায় সবগুলো কারখানা চালু হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে কারফিউ পাসের প্রয়োজন হবে না। তাদের সঙ্গে থাকা কারখানার পরিচয়পত্রই কারফিউ পাস হিসেবে বিবেচনা করবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ চালুর বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতারা। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতিদের মধ্যে সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সময় সংবাদ