News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

যে কারণে তীব্র শীত, কাবু পুরো দেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আবহাওয়া 2024-01-14, 8:08am

images-38-171c521833adc16f37bed892043010961705198222.jpeg




সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। শীতে কাবু পুরো দেশ। জবুথবু রাজধানীবাসী। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কিন্তু কেন এত শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ার কারণেও এত শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা আরও বলছেন, আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে কুয়াশা। এরপর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তখন শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এরপর চলতি সপ্তাহ শেষে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ফের কমে শীতের তীব্রতা আবার বাড়তে পারে।

এদিকে তীব্র শীতে, গত ছয় দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন বয়স্ক ছয় জন। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক চেয়ে দুই-তিনগুণ বেড়েছে। শুধু রংপুরেই নয়, সারা দেশে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ছিল পৌষের ২৯ তারিখ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে। তা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, কুয়াশা আরও দু-তিন থাকতে পারে। এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রিতে এলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। এখন কোথাও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে শীতের অনুভূতি এত হতো না।

তিনি বলেন, উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। গতকালের (শুক্রবার) চেয়ে আজ (শনিবার) বাতাস কিছুটা কম আছে। তবে কুয়াশার কারণে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। দু-তিন দিন পর কুয়াশার তীব্রতা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আপাতত কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত বা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর ১৬ ও ১৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে। এরপর ১৮ ও ১৯ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর ফের কমতে পারে তাপমাত্রা।

এই আবহাওয়াবিদ আরও জানান, এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম আছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুলনামূলক কিছু কিছু জায়গায় বেশিই আছে।

এদিকে শনিবার ঘন কুয়াশার কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই দিনে সেভাবে সূর্যের দেখা যাওয়া যায়নি। যার ফলে দিনের বা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। কোথাও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম ছিল। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বইছে হিমেল বাতাস। তীব্র শীতে জবুথবু পুরোদেশ।

শনিবার সারাদিনই ঢাকার আকাশ কুয়াশায় ঢাকা ছিল। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ঢাকায়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।